পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৩৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ নহে । নৌকার মাঝিরা, খালাসীরাও সাজিয়া কুচ করিতে যাইত। যখন ভবদেব আসিতেন, মহারাজ অনেকক্ষণ ধরিয়া তাহার সঙ্গে কি পরামর্শ করিতেন । মহারাজ রাণশূর সর্বদাই মহারাজাধিরাজের সঙ্গে থাকিতেন। তিনি অতি বলিষ্ঠ, সুপুরুষ ও বেশ মিষ্টভাষী। মুখে হাসিটি লাগিয়াই আছে। শাকারে তিনিও খুব মজবুত ; কিন্তু সে মজবুতি সাকরেদী— ওস্তাদী নয় । মহারাজাধিরাজ, রাণশূরকে খুব স্নেহ করিতেন। তিনি কাছে থাকিলে খুসী থাকিতেন। দু’জনের বেশ ভাব হইয়াছিল। মহারাজাধিরাজ যেখানে যাইতেন, রাণশূরও সেইখানেই যাইতেন ! যে সব খেলার কথা বলা হইল, সর্বত্রই দু’জনে থাকিতেন। জলে পোলা রণশ্বরের বড় একটা অভ্যাস ছিল না ; কিন্তু তাতাতেও তিনি বেশ পাকিয়া উঠিলেন। তঁাঙ্গারও বাজ পাখী ছিল, শাকারী কুকুর ছিল। তিনিও তীর-ধনুক লইয়া শাকার খেলিতেন, বর্শা-বল্লম ব্যবহার করিতেন । [ R ] আর ভবদেব কি করেন ? তিনি একখানি বড় বজরা লইয়া ত্ৰিবেণীর পাশে সপ্তর্ষিাঘাটে বসিয়া থাকেন। বজরায় একটি আপিস ; একজন বুদ্ধ কায়স্থ, তাতার নীচেও অনেকগুলি কায়স্থ, সবাই নিরন্তর ঘাড় গুজিয়া লেখাপড়া করিতেছে। ভবদেবের কাছে দিনরাত্ৰি লোক আসিতেছে । বিহারী প্ৰায়ই আসিতেছেন ও পরামর্শ করিতেছেন। গঙ্গামান ভিন্ন অন্য কোনও কাজেই ভবদেব বজরা হইতে নামেন না । কেবল একদিন নামিয়াছিলেন ব্ৰহ্মপুরীতে নিমন্ত্রণ খাইবার জন্য, একদিন বিহারীর বাড়ী পায়ের ধূলা দিবার জন্য, আর একদিন মহাবিহারের ঠাকুর দেখিবার জন্য। ANONO