পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৩৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে যদি ঘাটী খোলা পায়, আমারও ক্ষতি করিবে, তোমারও ক্ষতি করিবে ।” রাণশূর ইতাতে বেশ খুন্সী হইয়া গেলেন। তাঙ্গার পর রূপ রাজার পরিবার বর্গের প্রতিপালন । সে একটি বই বিবাহ করে নাই, তাহারও সন্তান সন্ততি হয় নাই । রাজা তাতাকে হাজার টাকা মাসিক দিবেন, আর তাহাকে গঙ্গার ওপারে চাকদহের কাছে বাস করিতে দিবেন। সে সেখানে ইচ্ছামত ধৰ্ম্মকৰ্ম্ম করিতে পারে। ভবদেব বলিলেন, “কিন্তু ইহাতে মহারাণী অধিরাণীর আপত্তি আছে। তিনি বলেন,—তিনি কোন বৌদ্ধক্ষেত্রে বাস করিবেন।” “বেশ ত তিনি নালন্দা, বিক্রমশীল, বুধগয়া, কুশীনগর, ঋষিপত্তন, যেখানে ইচ্ছা থাকিতে পারেন।” “রাণী বলিয়াছেন, তিনি আপাততঃ চরিহরপুরে থাকিবেন। পরে সেখান হইতে পুৱী যাইবেন।” “বেশ ত, তাহাতে আমাrদর কোন ও আপত্তি থাকিতে পারে না ।” তাহার পর ব্ৰাহ্মণদের পুরস্কার । তাহারা সকলেই শান্তি-স্বস্তায়ন করিয়াছেন। অনেকেই যুদ্ধ করিয়াছেন। অনেকে পরিশ্রম করিয়া বৃহরচনা, দুর্গসংস্কার প্রভৃতি শিখিয়াছেন ও করিয়াছেন, তাহার বিলক্ষণ পুরস্কার দেওয়ার ব্যবস্থা করিতে হইবে।” “কত জন পুরস্কারের যোগ্য বলিয়া মনে করিয়াছ ?” “একশত পািনর জন ৷” “বেশ, এক একজনকে এক একখানি গ্রাম দাও।” “মহারাজ, তাহাতে ত আমার কোনই আপত্তি হইতে পারে না । কিন্তু আপনি পাইলেন কি যে, এত দান করিবেন ? দেখুন, দামোদরের ওপারে ৮৮ খানা গ্রাম রহিল, তাহাতেও ঘাটা আগলাইবার খরচ কুলাইবে না। আর এপারে যে সব গ্রাম, তাহার ত ৫০ খানি মহারাজাধিরাজ রূপনারায়ণ মহাবিহারকেই দান করিয়া গিয়াছেন। তা ছাড়া প্ৰত্যেক বিহারই ত ৫৬ খানা গ্রাম ভোগ করে। আপনি তাহার উপর আবার ১১৫ খানা ছাড়িলে এক সাতগা বন্দর ছাড়া আর কিছুই থাকিবে না।”