পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দ্বাদশ পরিচ্ছেদ “তুমি কি বল ?” “আমি বলি, যিনি যেরূপ কাৰ্য্য করিয়াছেন, তাহাকে সেইরূপ ১০ বিঘা তইতে ১০০ বিঘা পৰ্য্যন্ত ভূমি দেওয়া হউক। আর যেখানেই ব্রাহ্মণের ভূমি দিবেন, তাহার একটা সীমানা যেন একটা বৌদ্ধবিহার বা তাঙ্গার জমীর সঙ্গে লাগাও থাকে, এরূপ করিলে ১১৫টা গ্রামের বদলে ১৫২০টা দিলেই চলিবে । আর ব্রাহ্মণদের ভবিষ্যৎ উন্নতির ও সম্ভাবনা থাকিবে । কারণ, বৌদ্ধধৰ্ম্ম এখন আর উঠুতি-মখে নাই, উহা ক্রমেই পড়িয়া याझेgङटुछ ।' “বুঝেছি,--তোমার মতলব বুঝেছি। বৌদ্ধদের জনী গুলা ব্রাহ্মণসাৎ প্রাইয়া যাইবে । কিন্তু পুরাণে লিখেছে যে, দেবোত্তরের কাছে কাহাকেও ব্ৰহ্মোত্তর দিবে না ।” “সে মহারাজ, আমাদের দেবতাদের কথা । বিধৰ্ম্মীদের দেবতা আমরা দেবতা বলিয়া মানি না । এই সে দিন মহাবিহারের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা দেখিতে গিয়াছিলাম, কামশাস্ত্রের ছবিতে ও আত অশ্লীল মূৰ্ত্তি কখনও দেখি নাই। এই মূৰ্ত্তি আমি ত দেবতা বলিয়া মানিতে পার না। তবে যে ভাঙ্গি না, সে কেবল মিছে একটা, গোলযোগ বাধান দরকার কি বলিয়া। নহিলে হেরুক মূৰ্ত্তি দেখিয়া আমার সে দিন হইতেই রাগ হইয়াছিল।” “তুমি কেমন করিয়া জানিলে, বৌদ্ধধম্মের উন্নতি নাই, ক্রমেই অধোগতি হইবে ?” “মহারাজ, এতদিন সমাজ হইতে ভিক্ষু সংগ্ৰহ হইত, সজঘ পূরিত, এখন উল্টা হইয়াছে। এখন সজঘ হইতে সমাজে লোক আসিতেছে ;---- সমাজ তাঙ্গাদের লাইতে পারিতেছে না । মহাবিভ্ৰাট উপস্থিত হইয়াছে। যতদিন সজেঘর আঁটি ছিল,--সজেঘ স্ত্রী-পুরুষের মিলন হইতে পারিত না, VOCA