পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৪২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে নাপিতের বংশ ক্রমে বাড়িয়া যাইতেছে! সাতগায় উহাদের জন্য একটা জায়গা দিতে হইবে । ক্রমে আমাদের নাপিতেরা যাহাতে বাঙ্গলা ছাইয়া ফেলিতে পারে, তাহার ব্যবস্থা করিতে হইবে। নতুবা কাকা-খাদক নাপিতের হাত হইতে রক্ষা পাইবার উপায় নাই । বাঙ্গলায় বড় বড় গোঠ আছে । গরু চরাইবার এমন প্ৰকাণ্ড প্ৰকাণ্ড ঘাসের জমী আর কুত্ৰাপি দেখা যায় না। এখানকার গোয়ালারা খুব প্ৰবল, দলেও খুব পুরু ; কিন্তু তাহাদের আচার ব্যবহার ভাল নয়। অনেকেই গরু দাগে, দামড়া করে, নানারূপে গরুকে যন্ত্রণা দেয়, ফুক। দিয়া দুধ বাতির করে, গাই দিয়া লাঙ্গল টানায় । এই সকল কদাচারী গোয়ালার দুধ পাওয়াও নিষেধ। কারণ, তাহাদের স্বভাব এত খারাপ যে, তাহারা দুধে জল না দিয়া থাকিতে পারে না, তাহাদের জল আচরণ করা ব্ৰাহ্মণের কোনমতেই উচিত নয়। ব্ৰাহ্মণের গ্রামে সেই জগত, আমরা সাদগোপ নামে আর একটি গোপজাতির সৃষ্টি করিয়াছি। তাহাদের মধ্যে এ সকল কদাচার নাই। তাহারা অনেকটা ব্ৰাহ্মণের সেবা করিতে শিখিয়াছে, ব্ৰাহ্মণের আচার-ব্যবহার শিখিতেছে। অন্য গোয়ালার। যাহাতে এই দলে নিশে, তাহার চেষ্টা করিতে হইবে। বাঙ্গলা ত নদীর দেশ, জলের দেশ। মাছ ধরাই এখানকার অৰ্দ্ধেক লোকের জীবন । নানাজাতির লোক মাছ ধরে- যেমন কৈবৰ্ত্ত, তীওর, জেলে, মালা ইত্যাদি। ইহারা সকলেই নামে বৌদ্ধ, বলে—“বুদ্ধং শরণং গচ্ছমি,” কিন্তু কাজে কিছুই নয়। বৌদ্ধদের প্রথম শিক্ষা-“প্রাণিহিংসা করিও না।” তা ত ইহারা দিনরাত করে। সেই জন্য বৌদ্ধস্মৃতিকারের বলিয়া গিয়াছেন যে, ইহাদের কোনরূপ শিক্ষা দেওয়া উচিত নয়। তবে যদি ইহারা জাতি-ব্যবসায় ত্যাগ করে, লাঙ্গল চালায় বা অন্য ব্যবসায় করে, তবে বৌদ্ধের উহাদিগকে শিক্ষা দিতে রাজী আছে। এইরূপে শিক্ষা A 8 R