পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে তাহারা প্ৰজ্ঞাকেই প্ৰথমরত্ন বলিয়া মনে করিত এবং এখানে পুবের দিকে প্রজ্ঞ-মূৰ্ত্তিই রাখিয়াছে। কোন কোন প্রজ্ঞা-মূৰ্ত্তি দাড়ামূৰ্ত্তি :- সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর, দুই হাত দুই পা, সৰ্ব্ব-অলঙ্কার-ভূষিত। সেইগুলিই দক্ষিণদিক হইতে আসিতে সকলের আগে পাওয়া যাইত। তাহার পর বসামূৰ্ত্তি ; তাহার পর তারামূৰ্ত্তি ; তাহার পর পঞ্চাধ্যানী বুদ্ধের পঞ্চশক্তি ; -লোচনা, মামকী, তারা, পাণ্ডারা, আৰ্য্যতারিকা । তাহার পর, বজতারা, বজবারাহী-শূওরের মত মুখ ; তাহার পর বিজযোগিনী ; তাহার পর বজধান্ধীশ্বরী। সব মুষ্ট্রিই তামায় তৈয়ারী, আর সোনার খুব পাহলা পাতে মোড়া। ইহাতে কখনও মরিচ পড়ে না, সব্বদাই চকচিক্‌ করে। পশ্চিমের সারিতে প্ৰজ্ঞাদের দিকে মুখ করিয়া দাড়াইয়া আছেনউপায়মত্তি, অথবা বুদ্ধমূৰ্ত্তি । কোন জায়গায় বুদ্ধদেব দাড়াইয়া উপদেশ দিতেছেন ; কোন জায়গায় বসিয়া ধান করিতেছেন ; কোন জায়গায় এক হাত মাটীতে দিয়া রাখিয়াছেন। এইরূপে এক একটি প্ৰজ্ঞার সম্মুখে এক একটি উপায়ামূৰ্ত্তি। মূৰ্ত্তিগুলি সব সাতগাঁ রাজ্যের ভিন্ন ভিন্ন বিহার হইতে আনাইয়া সাজাইয়া দেওয়া হইয়াছে। সম্যক-সম্ভোজনে তঁহার যে শুদ্ধ সাক্ষিমাত্র তাহা নহে, তাহারাও এই সম্ভোজনে যোগ দিয়াছেন । তাহাদের সম্মুখে ভিক্ষা লইবার জন্য চাদর বিছান। যে বিহারে যে ভাল চাদরখানি ছিল, আনিয়া মূৰ্ত্তির সম্মুখে পাতিয়া দেওয়া হইয়াছে। প্ৰজ্ঞামূৰ্ত্তিগুলির পিছনের সারিতে অনেক দেবীমূৰ্ত্তি,-ক্রোধমূৰ্ত্তি, শাস্তমূৰ্ত্তি, করুণামূৰ্ত্তি ইত্যাদি এক এক দেবীরই কত মুক্তি আছে। আর উপায়মুক্তিগুলির পিছনের সারিতে বোধিসত্ত্ব মুক্তি, বিশেষ লোকেশ্বরমূৰ্ত্তি। কোন মুক্তির দুই হাত, কোনটির চারি হাত, কোনটির দশ হাত, কোনটির ছত্ৰিশ হাত, কোনটির আবার একশ হাত; সাধকের বাসনা-অনুসারে Sir