পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৮১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ তাহার দ্বারা জগতের যত অনিষ্ট হয়, শত শত চোর-ডাকাতেও দেশের তত অনিষ্ট করিতে পারে না। নিগুণকে গুণীর আদর দেওয়া তিনি পঞ্চমহাপাতকেরও উপর মহাপাতক বলিয়া মনে করেন। একজন নিগুণ পুরুষকে গুণীর পদে বসাইলে, সে যত দিন বাচিবে, সমস্ত গুণিজনের অবমান করিবে । দেশ হইতে একটা গুণই হয় তা লোপ হইয়া যাইবে । সনাতন ধৰ্ম্মে তাহার প্রগাঢ় বিশ্বাস থাকিলেও তিনি বৌদ্ধ ও জৈন কবির যথেষ্ট আদর করিয়া থাকেন। বৌদ্ধ চিত্রকর, বৌদ্ধ সূত্রধর, বৌদ্ধ স্বর্ণকার তঁাহার বড় আদরের পাত্ৰ। জ্যোতিষীরা ত শাকদ্বীপী ; কিন্তু মহারাজ তাহাদের কতই না আদর করিয়া থাকেন। চিকিৎসা-শাস্ত্ৰ এখন ত বৌদ্ধ-মঠে ও জৈন-উপাস্ৰয়েই আশ্রয় পাইয়াছে। তথাপি সেখানেও একটি নুতন ঔষধ আবিষ্কত তইলে, মহারাজের আহিলাদের আর সীমা থাকে না । সুতরাং আমি আপনাদিগকে সৰ্ব্বান্তঃকরণে অনুরোধ করিতেছি যে, আপনারা অবিমিশ্র, বিশুদ্ধ, পবিত্ৰ গুণরাশি লইয়া আগামী ফান্তনী পুর্ণিমার সভারোহণ করিবেন।” 8 ভবদেবের বক্তৃতা শুনিয়া সকলেই “সাধু-সাধু বলিতে লাগিলেন। দুই একজনে আবার ভবদেবেরই ভাষ্যভূত দুই একটা বক্ততাও করিলেন। পিশাচখণ্ডী বারংবার বলিতে লাগিলেন,-“আপনারা বালবলভীিভুজঙ্গ ভবদেব ভট্টর কথাগুলি সব মনে করিয়া রাখিবেন।” হঠাৎ গুরুপুত্ৰ S 'G