পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে Fa দাড়াইয়া উঠিলেন ; বলিলেন,-মঙ্করী মহাশয় ভারতবর্ষের যাবতীয় বৌদ্ধ গুণিগণকে এই সভায় একত্ৰ করিবার ভার আমার উপর দিয়াছেন ; আমিও আনন্দের সহিত সে ভার গ্ৰহণ করিয়াছি এবং কয়েক মাস ধরিয়া এই চেষ্টাতেই মন-প্ৰাণ সমৰ্পণ করিয়াছি ; বৌদ্ধ ও জৈন পণ্ডিতেরাই দেশভাষার চর্চা করিয়া থাকে। ব্ৰাহ্মণের দেশীয় ভাষার প্রতি উপেক্ষাই করিয়া থাকেন। একজন জৈন-পণ্ডিত বলিয়া গিয়াছেন যে, “যে কবি ছয় ভাষায় সমান কবিতা লিখিতে না পারে, সে কবিই নহে। মহামহোপাধ্যায়। ভবদেব ভট্ট বলিয়াছেন যে, বৈদ্যশাস্ত্ৰ বৌদ্ধমঠ ও জৈন-উপাশ্রয়কেই আশ্রয় করিয়াছে; শুধু বৈদ্যশাস্ত্ৰ কেন ?—সমস্ত শিল্প ও কলা, আজিও বৌদ্ধগণের করায়ত্ত। কার্পাস-বস্ত্ৰই বলুন, ক্ষৌমবস্ত্ৰই বলুন, পত্ৰোৰ্ণাই বলুন, চিত্ৰকাৰ্য্যই বলুন, ভাস্করকাৰ্য্যই বলুন, শিলালিপিই বলুন, দেবপ্ৰতিমাই বলুন, মনুষ্যপ্রতিমাই বলুন, গীতবাদিত্রেই বলুন, সবই এখন বৌদ্ধদের হাতে। ইহঁরা যাঙ্গাতে আপন আপনি উত্তম উত্তম শিল্পকাৰ্য্য রাজসভায় উপস্থিত করিতে পারেন, আমি তাহার চেষ্টা করিব। আমি নিজে রাজসভায় উপস্থিত থাকিব,-পরীক্ষা দিব ; প্রয়োজন হইলে রাজার আদেশে পরীক্ষকের আসন ও গ্ৰহণ করিব। শুনিয়াছি, অনেক কুলবালা পরীক্ষা দিতে আসিবেন। আমিও বহুসংখ্যক ভিক্ষুণী আনাইবার চেষ্টা করিব। ভিক্ষু ও ভিক্ষুণীরা আপন আপনি ধৰ্ম্মমত ব্যাখ্যা করিয়া কবিতা লিখিবেন। মহারাজাধিরাজ যেন বিধৰ্ম্মীর মত বলিয়া সেগুলি উপেক্ষ না করেন । আহা, ভগবতী লক্ষ্মীঙ্করা এই সময়ে জীবিত থাকিলে তাহার আনন্দ আর ধরিত না। তিনি কলিযুগ-পাবনাবতার মহারাজ ইন্দ্রভূতির কন্যা। তিনি যেমন বিদুষী ও পণ্ডিত, তেমনই কবি ও সাধিক । তিনি অল্প দিন হইল দেহ রাখিয়াছেন ; কিন্তু তঁাহার শিষ্য ও শিষ্যার ভিতরে * অনেক প্ৰতিভাশালী ব্যক্তি আছেন। আমি তাহাদিগকে নিমন্ত্রণ >ゲn