পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৮৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পঞ্চদশ পরিচ্ছেদ her করিবার ভার গ্ৰহণ করিলাম। আমি উৎকষ্ঠিত-চিত্তে ফান্তনী পূর্ণিমার অপেক্ষা করিব ও সাধ্যমত মহাসভার সৌষ্ঠববৃদ্ধির জন্য চেষ্টা করিব।” গুরুপুত্রের বক্তৃতায় সকলেই জয় জয় ধ্বনি করিয়া উঠিল। ( ) রাজা বিহারী দত্তের কৰ্ম্মচারীরা প্রচুর অর্থ লষ্টয়া উপস্থিত ছিল। তাহারা ভবতারণ পিশাচখণ্ডীকে লইয়া তাহাদের মধ্যে বসাইল এবং তাহারই হাত দিয়া গুণিজনের পাথেয় ও বিদায় দিতে লাগিল । পথেয়ের হিসাব করিতে এই কৰ্ম্মচারীরা দক্ষ-বৃহস্পতি। কারণ, তাহারা যাবজীবন ধরিয়া বেণেদের ঠকাইয়া বিস্তর পাথেয় লইয়াছে, সুতরাং তাঙ্গার জন্য আর ভবদেবকে অধিক বকবকি করিতে হইল না। কিন্তু বিদায় লইয়া অনেকে অনেক রকম গোল বাধাইল। কিন্তু পিশাচখণ্ডী হাত একটু দরাজ করিয়া দিয়া সব গোল থামাইয়া দিলেন। তঁাচার সৌজন্যে, সদালাপে ও মিষ্ট কথায় বাঙ্গলা-শুদ্ধ লোক যেন বশ তইয়া গেল। বৌদ্ধের কেত কোনরূপ গোল তুলিলে গুরুপুত্র তখনই ইঙ্গিত করিয়া দিতেছেন,- ‘গোল করিও না ।” বিদায় লইয়া সকলে ‘জয়োহভুত্ত্ব’ ‘কল্যাণমস্তু’ বলিয়া আশীৰ্ব্বাদ করিতে করিতে চলিয়া গেল । সাতগাঁ আবার ৭/৮ মাসের জন্য যে ভোঁ ভো-সেই ভোঁ ভোঁ হইয়া রহিল। | V» গুরুপুত্র ইতিমধ্যে অনেক কাৰ্য্য করিতে লাগিলেন। তিনি লোক পাঠাইয়া ইন্দ্রভূতি ও লক্ষ্মীঙ্করা দেবীর দল হইতে বাছিয়া বাছিয়া জনকয়েক