পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে অৰ্দ্ধচন্দ্র, রূপার সোণার রাশি রাশি বুদ্ধ ও বোধিসত্ত্বমূৰ্ত্তি,-কাহারও হীরার চোখ, কাহারও পান্নার চোখ, কাহারও নীলার চোখ। যে সময়ের কথা হইতেছে, মহম্মদীয়া ব্যক্তিয়ার তাহার ২০০ বৎসর পরে এই বিহারই লুট করিয়া এত সোণ-রূপ-হীরার বৌদ্ধমূৰ্ত্তি পাইয়াছিল যে, সেগুলি বহিয়া লইয়া যাইবার জন্য সত্তরটা অশ্বতর লাগিয়াছিল। এই বিহারের ভাণ্ডারে রাশি রাশি তালপাতার পুথি ছিল, সিন্দুক-ভরা কারচুপি করা রেসমের কাপড় ছিল, শত শত চামর ছিল, আর ধূপদান ও দানপত্ৰ যে কত রকমের কত ছিল, তাহা ঠিক করিয়া উঠা যায় না। তিনি সব তন্ন তন্ন করিয়া দেখিলেন ও আশ্চৰ্য্য হইয়া গেলেন এবং যাহা যাহা বাঙ্গালায় পাঠাইবার সমস্ত চিহ্ন করিয়া দিলেন ; রাজপাত্ৰ স্বীকার করিলেন, সেগুলি যথাসময়ে সাতগা এ পাঠাইয়া দিবেন। " ওদন্তপুরীর বাজারে উপস্থিত হইয়া পিশাচখণ্ডী দেখিলেন, নানারূপ মিষ্টান্নের দোকান। এখানকার লোক প্রায়ই সব বৌদ্ধ। তাহাদের বাজারেল জিনিস খাইতে আপত্তি নাই। অনেকে তাই খাইয়া জীবনযাত্ৰা নিৰ্ব্বাহ করে। সুতরাং বিচিত্র বিচিত্র খাবারের জিনিস তৈয়ারী হইতেছে। খাবারের মধ্যে সর্বোৎকৃষ্ট-খাজা, আর সিলাবের চিড়া-যেমন ছোট, তেমনি মিষ্ট, আর তেমনি সুগন্ধ । দুধের জিনিস সকল রকমই পাওয়া যায়-দই, দুধ, ক্ষীর, ননী, মাখন, খোয়া-বোধ হয়, দ্বাপরের বৃন্দাবন যেন এখানে উঠিয়া আসিয়াছে। ওদন্তপুরীতে দিন-কয়েক থাকিবার ইচ্ছা! থাকিলেও, তঁহাকে পরদিন প্ৰত্যুষেই চলিয়া যাইতে হইল ; কেন না, সময় সংক্ষেপ, কাজ বেশী । তিনি নালান্দায় আসিয়া উপস্থিত হইলেন,-সঙ্গে সঙ্গে বুদ্ধরক্ষিত। সে বলিল-“বুদ্ধদেবের প্রথম প্ৰধান ব্ৰাহ্মণ-শিষ্য শারীপুত্রের জন্মস্থাননালান্দায়। র্তাহার মা সশরী জমিদারের মেয়ে। শারীপুত্ৰ পীড়িত হইয়া bryr