পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

* বেণের মেয়ে আপনি নালান্দা হইতে বাছিয়া বাছিয়া কয়েকজন পণ্ডিতকে সেখানে পাঠাইয়া দিবেন।” সৰ্ব্বজ্ঞা-পণ্ডিত ৷-“মহারাজাধিরাজের সঙ্কল্প অতি উত্তম। আমাদের এখানে বজ্ৰদত্ত একজন মহাকবি। তিনি ছয় ভাষায় কবিতা রচনা করিতে পারেন। তঁহার লোকেশ্বর-শতক বৌদ্ধদেব বড় আদরের জিনিস। তিনি } যাইবেনই। শিল্পীও জানকতক পাঠাইব। বিশেষতঃ কয়েকজন ভাস্কর ! যাইবে-কতকগুলি কষ্টিপাথরের কাগজ লইয়া যাইবে। তবে শাস্ত্রে প্ৰবীণ লোক লইয়া খুবই গোল। কারণ, আমরা নালন্দায় তন্ত্রটাকে শাস্ত্ৰ ; বলিতেই রাজী নই ; বজ্রযান, সহজযান, আমরা একটা যান বলিয়াই भन्, করি না ; আমরা বড় জোর মন্ত্রযান পৰ্য্যন্ত মানিতে পারি। তবে আমার ; বোধ হয়, প্ৰজ্ঞাকরীমতি এখন এখানেই আছেন। তিনি যদিও নালন্দার পড়ুয়া নহেন, কিন্তু অনেক সময়েই নালন্দাতেই থাকেন। বিশেষ, তিনি যে বোধিচৰ্য্যাবতারের টীকা লিখিতেছেন, তাহার জন্য যে সকল পুথিপাজীর দরকার, সে সকল ত কেবল এখানেই আছে, অন্যত্র পাওয়া যায় না ; তাই তাহাকে এই খানেই থাকিতে হইয়াছে। মহাযান-শাস্ত্ৰে তিনি একজন পণ্ডিত বটেন। আমরা তঁহাকে পাঠাইবার চেষ্টা করিব।” : “সৰ্ব্বজ্ঞ পণ্ডিত এই কথা বলিতে না বলিতেই একজন বেঁটেৰ্থেটে ভিক্ষু, দুই জন পড়ুয়া সঙ্গে আসিয়া উপস্থিত,-তিনি আসিবামাত্ৰ সৰ্ব্বজ্ঞ পণ্ডিত বলিয়া উঠিলেন,-“এই যে-অনেক দিন বঁাচিবে, তোমারই নাম হইতেছে।” “আমি এমন কি পুণ্য করিয়াছি যে, আচাৰ্য্য ভদন্ত মহাপণ্ডিত পিণ্ডপাতিক মহোপাধ্যায় সর্বজ্ঞ পণ্ডিতের স্মৃতিপথে উদিত হইব ?” “তোমার মত পুণ্যবান আর কে আছে ? যে বোধিচৰ্য্যা ব্যাখ্যা করিতে করিতে আচাৰ্য্য শান্তিদেব, এই নালান্দা হইতে স্বৰ্গারোহণ করিয়াছিলেন, Y GDR