পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৯৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

וישרשטא ו) " ו־לצוN.) দিন-রাত্রি তাহার কাছে থাকে। প্ৰত্যহ সকালে তিনি একবার নামিয়া আসেন, নালান্দার বড় রাস্তায় খানিক পাইচারি করেন, তাহার পর প্ৰাত:কৃত্য শেষ করিয়া নালান্দার বড় দীবীতে স্নান করিয়া উপরে উঠেন, উঠিয়াই আহার করেন। আহারান্তে বসিয়া বসিয়া খানিক বিশ্রাম করেন। দিবানিদ্ৰা ত একেবারেই নাই, রাত্ৰিতেও “শয়নং যোগনিদ্ৰয়া ।” বিশ্রামের পরই কাৰ্য আরম্ভ। তিনি যে কেবল বালাদিত্য বিহারের কৰ্ত্ত, শুধু তাই নয়, নালান্দার সমস্ত বিতারই তাহার কথায় চলে। বিদ্যার্থী বা পড়ুয়াদের :যে সন্দেহ, তাহা আর কেহই মিটাইতে পারিত না, ঠাঙ্গার কাছে আসিলেই সে সন্দেহ মিটিয়া যাইত। তিনি পুরাদস্তুর মহাযানপন্থী ছিলেন। মহাযানের মূলগ্রন্থগুলি টীকা টিল্পনীর সহিত তাঙ্গার কণ্ঠস্থ ছিল। একদিন বিশ্রামের পর বুদ্ধরক্ষিত পিশাচখণ্ডীকে লইয়া সৰ্ব্বজ্ঞ পণ্ডিতের নিকট উপস্থিত হইলেন । পিশাচখণ্ডী চারি-তল হইতে নালানদার শোভা দেখিয়া আশ্চৰ্য্য হইয়া গেলেন । সারি সারি বিচার ও সারি সারি স্তপের পর—যে দিকে চাহেন,-কেবল পড়ুয়াদের কুটী। বিষ্কারগুলি যদিও কোথাও কোথাও ভাঙ্গিয়া পড়িয়াছে ও বেমেরামত আছে, কিন্তু পড়ুয়াদের কুটীগুলি বেশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন। পড়ুয়ারাও বেশ পরিষ্কারপরিচ্ছন্ন। ইহাদের অধিকাংশই পাঠে তন্ময় । সমস্ত জায়গাটিই যেন সরস্বতীর লীলাক্ষেত্ৰ। পিশাচখণ্ডী নিজে ব্ৰাহ্মণ ও ঘোরতর বৌদ্ধদ্বেষী। তিনি উহাদিগকে অনাচরণীয়, অস্পৃশ্য, মেচ্ছ, নাস্তিক, অতিপাষণ্ড বলিয়াই জানেন। কিন্তু এখানে আসিয়া কিছুক্ষণের জন্য যেন তাতার মনের ভাব বদল হইয়া গেল । তিনি সর্বজ্ঞ পণ্ডিতকে বলিলেন :- “ভবন্ত, আমি বঙ্গাধিপতি শ্ৰীহরিবল্মদেবের দূত হইয়া আসিয়াছি। তিনি আগামী ফাঙ্কনী পূর্ণিমার দিন সাতগাঁয়ে রাজসভা করিবেন। সেখানে । কাব্যে, শাস্ত্রে, শিল্পে ও কলায় পারদর্শী লোকগণকে পুরস্কার দিবেন। ܠ ܘ