পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে । তাহার পর সর্বজ্ঞ পণ্ডিত পিশাচখণ্ডীর দিকে ফিরিয়া বলিলেন :- “আপনি যে কাৰ্য্যের জন্য এখানে আসিয়াছেন, আমরা তাহার সম্পূর্ণ ভার লইলাম। যথাসময়ে আমাদের লোক-জন আপনাদের ওখানে পৌঁছিবে। আপনার যদি সময় থাকে, আমার অনুরোধ, একবাদ নালন্দাটা বিশেষ করিয়া দেখিয়া যান ।” পিশাচখণ্ডী ও বুদ্ধপালিতকে বলিলেন, “আপনি, আমাকে নালন্দায় দেখিবার বাহা কিছু আছে, সব দেখান।” রীতিমত শিষ্টাচারের পর চৌতালা হইতে নামিয়া উভয়ে নালন্দা নগরে প্রবেশ করিলেন। সন্ধ্যাপৰ্য্যন্ত নালন্দা দেখিয়া পরদিন প্ৰত্যুষে উভয়ে সিলা ও যাত্ৰা করিলেন এবং তথা হইতে রাজগৃহে উপস্থিত হইলেন। المبيا 8 রাজগৃহে উপস্থিত হইয়া বুদ্ধরক্ষিত সরস্বতী নদীর তীরে দাড়াইয়: বলিলেন, ঃ- “এই যে চারিদিকে পাহাড়, মাঝখানে একটু সমান জমি দেখিতেছেনএই রাজগৃহ। ইহার আর এক নাম গিরিব্রজ। এইরূপ পর্বতবেষ্টিত স্থান পৃথিবীতে দুর্লভ। ইহাই জরাসন্ধের: রাজধানী। আমরা যেখানে দাড়াইয়া আছি, এই গিরিব্রজের তোরণদ্বার।” “তোরণের ভিতর দিয়া নদী আসিতেছে।” “না আসিলে এই সমতলভূমির জল কোথা দিয়া বাহির হইবে ? আর কোন দিকেই ত পথ নাই। ঐ ক্ষুদ্র নদীটি সরস্বতী । কিন্তু উহার জলে হাত দিয়া দেখুন। উহা বেশ গরম। তোরণের দুইধারে অনেকগুলি গরম জলের ফোয়ারা আছে। সরস্বতী ঐ গরম জলের Y G8