পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/১৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষোড়শ পরিচ্ছেদ সহিত মিশিয়া ক্ৰমে চওড়া হইতেছে। উচ্চে তোরণের দুই ধারে ঐ দেখুন, চৌকা করিয়া পাথরে বাধান দুইটি বসিবার জায়গা-উহার নাম “জরসন্ধক বৈঠক।” লোকে বলে, জরাসন্ধ নাকি ঐখানে বসিয়া শত্রুদিগের গতিবিধি লক্ষ্য করিতেন। চলুন-এই রাজগৃহের এক কোণে মনিয়ার নামে এক মঠ আছে। সেখানে এক আশ্চৰ্য্য কৃয়া আছে, উহার উপরে গম্বুজ বাধান। মঠে ভিক্ষু ও অনেকগুলি আছে ।” সেখানে উপস্থিত হইয়া পিশাচখণ্ডী যাঙ্গা দেখিলেন, তাহাতে আশ্চৰ্য্য হইয়া গেলেন। সেখানে অনেকগুলি ভিক্ষু আছেন বটে, কিন্তু তঁাহারা এমন ধ্যানে মগ্ন যে, বাহিরের কোন সংবাদই রাখেন না । দুই জন লোক যে সেখানে অনেকক্ষণ দাড়াইয়া রহিল, অনেক ডাকাডাকি করিল, তাত তাহাদের উদ্বোধই হইল না। সেখান তইতে তাহারা বুদ্ধদেবের প্রিয়ভূমি গৃধ্ৰুকুটে গেলেন। অনেক দূর উঠতে হইল। একে ত রাস্তা বড়ই চড়াই, তাহার উপর বেমেরামত—অনেক জায়গাই ধসিয়া গিয়াছে। প্রাণ হাতে করিয়া সেখানে যাইতে হয়। সেখানে গিয়াও দেখিলেন, একই ভাব। অনেকগুলি ভিক্ষু আছেন—সকলেই ধ্যানমগ্ন। ইহঁরা দিনের মধ্যে একবার উঠেন, কিন্তু কখন-কেহই জানে না। গিরিব্রজ ছাড়িয়া তাহারা দুই জনে নূতন রাজগৃহে আসিলেন। বেশ ডাগর সহর, এখন কিন্তু সবই ভাঙ্গা-সহরের প্রাচীর ভাঙ্গা, বাড়ীগুলা ভাঙ্গ, রাস্তায় যাতায়াত কঠিন। কেবল একটী বিহার আছে, তাহাও বৌদ্ধদের হাতে নয়। শৈব যোগীরা সেটি মেরামত করিয়া বাস করিতেছে। তাহারা, হঠযোগ করে, গুরু-পাদুকা পূজা করে, ভষ্ম মাখে, জটা রাখে, গেরুয়া-কাপড় ও রুদ্রাক্ষ পরে, আর SG