পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মুরারি সেন, আর একজনের নাম শ্ৰীহৰ্ষ নাকফোফা। তাহারা ৭ বলিল, “আমরা তীর্থস্বামী । আমরা তীর্থ ছাড়িয়া কোথাও যাই না।” মঙ্করী গোলে পড়িলেন। র্তাহার উপস্থিত বুদ্ধি খুব প্রখর। তিনি বলিলেন, “এরূপ মহাসভায় গেলে ও আদর পাইলে আপনাদের তীর্থেরই ত গৌরব হইবে। তীর্থস্বামীর কাৰ্য্যক্ষেত্ৰ প্ৰশস্ত হইবে।” গয়ার কােজ সারিয়া মঙ্করী ভাবিলেন-বোধগয়ায় না। যাওয়া ভাল ; নয়। পৃথিবীর একটা বড় তীর্থস্থান। সভার উপযুক্ত অনেক জিনিস পাওয়া যাইতে পারে। তাই ভাবিয়া বৃদ্ধরক্ষিতকে লইয়া বােধগয়ায় গেলেন। বােধগরার মন্দির তখন বড়ই বেমেরামত, যে অশ্বথগাছের তলায় বুদ্ধদেব বোধিলাভ করিয়াছিলেন, "তাতা শেষ কাটা পড়ে শশাঙ্কনরেন্দ্র গুপ্তের সময়, সে প্ৰায় চারি শত বৎসর। এই চারি শত বৎসরে গাছটা প্ৰকাণ্ড হুইয়া উঠিয়াছে, তাহার শিকড়ে বােদ্ধগয়ার মন্দির ফাটিয়া গিয়াছে। সেই মন্দিরের পিছনে তাহারই বারান্দার মধ্যে অশ্বথগাছ। মন্দিরের মধ্যে বুদ্ধমূৰ্ত্তি। যেন গাছতলায় বুদ্ধদেব ধান করিতেছেন। মন্দিরটা রৌদ্রবৃষ্টি হইতে র্তাহাকে রক্ষা করিতেছে। মন্দিরের হাতার চারিদিকে পাথরের রেলিং, তাহাতে কতই চিত্ৰবিচিত্র করিগিরি। কিন্তু ফন্তু নদীর বালী পড়ায় হাতাটা প্ৰায় ভরিয়া উঠিয়াছে, মন্দিরের দরজায় উঠিতে এখন আর পৈঠার দরকার হয় না। চারিদিকে বিহার, সেখানে নানাদেশের ভিক্ষু বাস করে ও তীর্থ করিতে আসে। মস্কেরী দুই তিন জন নেপালী, দুই তিন জন ভুটিয়া ও দুই তিন জন সিংহলীকে সভায় যাইবার জন্য জেদ করিয়া গেলেন ; তাহারাও যাইবে স্বীকার করিল। সেখানে আরও অনেক দেশবিদেশের পণ্ডিত পাওয়া গেল। দু'জন পারসী বৌদ্ধেরও নিমন্ত্রণ হৈইল। নীলা নদীর উত্তরে দু’জন রোদদেশের লোকেরও নিমন্ত্রণ হইল। Y G9 0