পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/২০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তদশ পরিচ্ছেদ [ R ] তখন দু'জনে পাটনা চল্লিলেন। গয়া হইতে পাটনা যাওয়ার রাস্তা ধরিলেন । রাস্তার ধারে ধারে পাহাড়ের গায়ে খোদা দেবদেবীর প্ৰতিমা দেখিতে দেখিতে যাইতে লাগিলেন। কাউআডোল পাহাড়ে কাক বসিলে দুলিতে থাকে। তাহার একটু পরেই “খলতিক পৰ্ব্বত” অর্থাৎ পৰ্ব্বতে চড়িলেই পা হাড়কাইয়া যায়। সেই পৰ্ব্বতে উঠাই মুস্কিল, নাম ত আরও মূঙ্গিল। পৰ্ব্বতের উপর গুহা। গুঙ্গার ভিতর এমন মাজা, এতে পালিস যে, মুখ দেখা যায়। সাদা, কাল, নীল রঙ, আর সুন্দর পালিস। গুহায় ঢুকিলেই মানুষের ছায়া পড়ে। একটা গুহায় এক জন তপস্বী আছেন, তিনি সে কত কাল চক্ষু মুদিয়া ধান করিতেছেন, বলা যায় না। বীরাসনে বসিয়া আছেন, শরীর অস্থি-চৰ্ম্মসার হইয়া গিয়াছ, চক্ষু কোটরগত, ব্লগ টিপিয়া গিয়াছে, নাকের হাড় নড়-নড় করিতেছে। মঙ্করী। ঠাচাকে নমস্কার করিয়া অতি কষ্টে খালতিক পৰ্ব্বত হইতে নামিলেন । পাটলীপুত্ৰ এখন প্ৰায় জনশূন্য। সাড়ে তিনশত বৎসর পূৰ্ব্বে মহাভূমিকম্পে সমস্ত নগর বসিয়া যায়। শোিণ নদী পাটালীপুলের পশ্চিম সীমা ছিল, সে সরিয়া দশক্রোশ তফাতে গিয়া পড়ে। এখনও দু একখান নৌকা পুরাণ পথে সময়ে সময়ে বর্ষাকালে যায়। কিন্তু বিন্ধ্যপৰ্ব্বতের জলরাশি শোণ দিয়াই গঙ্গা নদীতে পড়ে। বাসা নগরের উপর ক্রমাগত পলিমাটা পড়িয়া নগরকে যে কত নীচে নামাইয়া দিয়াছে, কে বলিতে পারে ? তবে, মাঝে মাঝে স্তুপের, জুয়স্তম্ভের । ও আকাশভেদী রাজবাড়ীর আগা দেখা যায়। এক জায়গায় অনেক- { গুলি থামের মাথা জাগিয়াছিল, ক্ৰমে সেগুলা ও জীৰ্ণ হইয়া পড়ি