পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/২০২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Gatoro C27C2 তেছে। পাটলীপুত্রের তিন শত্রু বলিয়া বৌদ্ধের বলিয়া থাকে - “জল, আগুন আর ঝগড়া।” কাঠের নগর কয়েকবার আগুনে পোড়াইয়! দিয়া যায়। তাঙ্গার উপর জলপ্লাবনে অঙ্গার পর্য্যন্ত ধুইয়া যায়, ঝগড়ায় নগরের চিহ্ন পৰ্য্যন্ত লোপ হইয়া যায়। কিন্তু পাটলীপুত্র একবার আবার উঠিত, আবার বড় হইত। কিন্তু বৌদ্ধের মনেও করিতে পারে নাই যে, উচ্চার আর এক প্রবল শত্রু ছিল, ভূমিকম্প । সমস্ত নগরটা ১০|১২১৫ হাত বসাইয়া দিয়া গিয়াছে। পাটলীপুলের নাম “নগর” । মগধ-শুদ্ধ লোক উহাকে নগরই বলিত। ইদানীং ভাঙ্গা নগরের নাম শ্ৰীনগর হইয়াছিল। [ ७ j । কাশী এ সনয়ে দুটি ছোট ছোট নগর। একটি মৃগদাব। আর একটি অবিমােত্ত ক্ষেত্ৰ। দু’জায়গায়ই লোকজন অনেক ; এক জায়গায় হিন্দু আর এক জায়গায় বৌদ্ধ । হিন্দু নগরটি একটি প্ৰকাণ্ড জলাশয়ের চারিধারে। জলাশয়টি জ্ঞানবাপী । তাতার একদিকে বিশ্বেশ্বরের মন্দির, আর এক দিকে অন্নপূর্ণার মন্দির। সে বিশ্বেশ্বরের মন্দির এখন আদিবিশ্বেশ্বর হাইস্কাছে। অন্নপূণার মন্দির যেখানকার সেইখানেই আছে। মধ্যে একটা হ্রদ, তাহারই নাম জ্ঞানবাপী । উচ্চারই চারিদিকে সন্ন্যাসীদের বাস ও ব্রাহ্মণদের বাস । হ্রদ ক্রমে মজিয়া গিয়া তথায় নগরপত্তন হইয়াছে। জ্ঞানবাপী ক্রমে ছোট চাইতে হইতে এখন একটি বাউড়ী হইয়া দাড়াইয়াছে। বাউড়ী মানে সিড়ি ওঁয়ালা কুয়া। তখনকার প্রধান দেবতা অবিমুক্তেশ্বর, তিনি এখনকার জ্ঞানবাপীর উপরেই বিরাজ করিতেছেন। R o o