পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে একখানি অষ্টসাহিত্রিকা প্ৰজ্ঞাপারমিতা, আর একখানি চক্রসম্বর অন্ত্র। রাজা দেখিলেন, আর দুজনকেই পুরস্কার দিলেন। 8 তারপর গান-বাজনা। রাজা পূর্বেই কীৰ্ত্তনিয়াদের পুরস্কার দিবার ব্যবস্থা করিয়াছিলেন। এখন তাহারা সকলে শিরোপা লইয়া গেল । একদল জলের উপর কাটি বাজাইয়া, তাহাতে অনেক বোল ফুটাইতে লাগিল। ইহার নাম উদাকঘাত ও উদ্দকবাদ্য। একদল বঁাশী বাজাইল । একদল তারে বাজাইল। একদল চামড়ায় ঘা দিয়া বাজাইল। আর একদল ধাতুতে ঘা দিয়া বাজাইল। সবাই সিদ্ধহস্ত। রাজা ও একজন প্রধান সমাজদার, তিনি খুব খুশী হইলেন ও সকলকেই পারিতোষিক দিলেন। নাচ আসিল । সেকালে সবাই নাচিতে জানিত । ছেলেও জানিত, মেয়েও জানিত। যুবা ও জানিত, বুড়াও জানিত। নাচায় দোষ মনে করিত না ; বরং গুণ মনে করিত। এখন অনেকে আশ্চৰ্য্য হন—পুরাতন বাত্রার দলে সবাই নাচে । কৃষ্ণ ও নাচেন, রাধাও নাচেন, নন্দও নাচেন, যশোদাও নাচেন, বিদ্যাও নাচেন, সুন্দর ও নাচেন, রাজাও নাচেন, রাণীও নাচোন। এখনকার লোক মনে করেন, এটা অসভ্য। কিন্তু সেকালে কেহ এরূপ মনে করিত না । নাচের কায়দা-বড় কায়দা । মনের ভাব প্ৰকাশের জন্য হাত-পা নাড়া আর অঙ্গভঙ্গি করার নাম অঙ্গহার। এইরূপ তিন চারি অঙ্গহার এক করিয়া মনের গভীর ভাব প্ৰকাশ করার নাম করণ। করণ হইতে যে গভীর ভাব প্ৰকাশ হয়, তাহার নাম ভাব। যে সব লইয়া, ভাব, তাহার নাম বিভাব। ভাবের কাৰ্য্যকে অনুভব বলে। এইগুলি সব ফুটিয়া উঠিলে রস হয়, রসের আস্বাদ হইলে নৃত্যে তাহা প্ৰকাশ হয় - &Sbr