পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/২২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

జూ সেই জন্য নৃত্যের এত আন্দর। ভারতে স্ত্রী মূৰ্ত্তি কোথাও অঙ্গহারভি দেখিতে পাওয়া যায় না। বিষ্ণুমূৰ্ত্তি, বুদ্ধমূৰ্ত্তি যেমন খাড়া-দাড়া-ধীর-গভী স্ত্রী মূৰ্ত্তি সেরূপ দেখিতেই পাইবে না। তাহার সঙ্গে একটা না। এ অঙ্গহার আছেই আছে। রাজা দু’চারি জায়গায় নৃত্য দেখিলেন ও পুরস্কা দিয়া চলিয়া গেলেন। তাহার পর খেলা । মেড়ার লড়াই, কুকুড়ার লড়াই, পাখীর লড়া দেখিলেন। কুস্তী দেখিলেন, কত রকম কসলৎ দেখিলেন, লাঠী খেল দেখিলেন, তলোয়ার খেলা দেখিলেন, তীর-ধনুকের টিফ দেখিলেন। কা রকম ইন্দ্ৰজাল দেখিলেন, আগুণের উপর চলিতে দেখিলেন। আতস বাজী দেখিলেন। দেখিতে দেখিতে পূৰ্ণচন্দ্র লালচে-আভা ত্যাগ করি একেবারে শাদা হইয়া গেলেন ; আর আকাশের পূর্বপ্রান্ত ত্যাগ করিয়া উপরে উঠতে লাগিলেন। নদীতে যেমন হ্ৰাস চলিয়া যায়, চলাচল কিছুই দেখা যায় না, বোধ হয় যেন ভাসিয়া যাইতেছে, অথচ হাস মহাশ ভিতরে ভিতরে বেশ পা নাড়িতেছেন, আর স্রোতের বিরুদ্ধেই যাইতেছেননদীতে হাস যেমন চলিয়া যায়, চাদ তেমনি আকাশে উঠিতেছেন। কি দুর উঠিলে সুধাভাণ্ড হইতে যেমন সুধা চারিদিকে ছড়াইয়া পড়ে, তেনটি একটি চাদ হইতে শত শত ধারা বাতির হইয়া ব্ৰহ্মাণ্ডভাণ্ডোদরপরিপু, করিয়া উঠিতেছে। চাদের আলো গঙ্গায় পড়িয়া গঙ্গার শাদী জলের সরে মেশামিশি করিয়া এক অদ্ভুত শাদা সৃষ্টি করিয়াছে। তাহার উপর বালি শাদা, এ ত সমুদ্রের বালি নয় বা দামোদরের বালিও নয় যে, হলদে হ’বে ༢ রাঙ্গা হ’বে। এ যে গঙ্গার বালি, তাহার উপর চাদের আলো পড়িয়াছে। সেও এক বিচিত্র বােধ হইতেছে—সেন পদ্ধের কাজ করা মেঝেতে দু ঢালিয়া রাখিয়াছে। চড়ায় চাঁদের আলো পড়িয়াছে, ঘাসের উপর চাদে আলো খেলিতেছে ; আর যত লোক ছিল, সকলের কাপড়ের রঙ বদলাই RNAS