পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(Cዏርማቑ ርቕ፶ርቛ! পটলসেরা । তাহারা সৰ্ব্বদা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন থাকে । তাহদের রঙ খুব উজ্জল নয়, কাশ্মীরি বা আম্মাণীদের মত দুধে-আলতার রঙ নয়, রঙ আৰ্ম্মণীদের চেয়ে অনেক মাটি, লালের, আভা খুব কম, সাদা রঙ যেন মাজা । বিহারীকে দেখিলেই উদাস বলিয়াই মনে হইত । বিহারী নিজে খুজিয়া একটি পরমা সুন্দরী বেণের মেয়ে বিবাহ করিয়াছিল। বিবাহের, সময় সে দেখিয়াছিল রূপ, আর দেপিয়াছিল বংশ। বিবাহ করিয়া অবধি স্ত্রীর সহিত তাহার কখনও ঝগড়া-বিবাদ বা মনোমালিন্য হয় নাই । সে আপনার স্ত্রীকে বড়ই ভালবাসিত । বেণের প্রায়ই বিদেশে গিয়া একটু এদিক ওদিক করে । বিহারী কখনও সে কাজ করে নাই ! সে একেবারে “স্বদার-সন্তোষী” ছিল । বিহারীর ধৰ্ম্ম কি ছিল, তাe: ঠিক বুঝান যায় না। শুধু বিহারী কেন ?—সে কালের বেণেদের যে কি ঠিক ধৰ্ম্ম ছিল, বলা যায় না । তাহারা ব্ৰাহ্মণ দিয়া দশকৰ্ম্ম ও করাইত, আবার বুদ্ধের মন্দিরে ধূপ-ধূনা ও দিত। তাহারা ব্ৰাহ্মণ আসিলে সাষ্টাঙ্গে নমস্কার করিয়া পায়ের ধূলা লইত ; বৌদ্ধ সন্ন্যাসী আসিলে ও তীহাকে দণ্ডবৎ নমস্কার করিত । দুই ধৰ্ম্মের লোককেই তাহারা যথেষ্ট দান করিত। বিহারীর বৌদ্ধধৰ্ম্মের দিকেই টান বেশী ছিল । কেন না, সাতগ-বিহারের মহাস্থবির শান্তশীলের আশীৰ্ব্বাদে তাহার একটি সন্তান হষ্টয়াছিল। সেইটি তাহার একমাত্র সস্তান- সেটি একটি মেয়ে । মেয়েটিকে সে বড়ই ভালবাসিত। সমস্ত দিন কাজকৰ্ম্ম করিয়া সন্ধ্যার পর বাড়ী ফিরিয়া স্ত্রী ও মেয়ের কাছে বসিয়া সে সমুদ্রের বর্ণনা করিত । সমুদ্রের ওপারে যে সব দেশ আছে, তাহার বর্ণনা করিত,- দারুচিনির গাছ, লবঙ্গের গাছ কেমন, বুঝাইয়া দিত, ঐ সব দেশের লোকের কথা বলিত । কতবার কত বিপদে পড়িয়াছিল,- তাহার গল্প করিত, একবার তাহার ডিঙ্গা ডুবিয়া যায়-সে গল্প করিত, Rbr