পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে মাঝিরা একখানা কাঠের সেউতি আগাইয়া দিল। বেণেবীে তাহাতে বমি করিতে লাগিলেন, বমি থামে না। একটু সুস্থ হন, আবার বমি, নৌকা যত দোলে, বমি ততই বেশী হয়। বােধ হয় যেন, পেটের নাড়ী ছিড়িয়া যাইতেছে। সে কাতরভাবে স্বামীর মুখের দিকে তাকায়, আর বমি করে । কথা কহার সামর্থ্য নাই, শরীর দুর্বল হইয়া পড়িতেছে। বেণেবীে অসাড় হইয়া পড়িল। মেয়ের ও স্ত্রীর এই অবস্থা দেখিয়া DDDD BBDBDB BBBD OS BB DD DBD DBBD DDBDBuD লাগিল। মাঝি আসে না । সে বলে, “এখন আমি হাল ছাড়িলে রক্ষা থাকিবে না।” তখন বিহারী পাগলের মত হইয়া তাহার কাছে গ্লিয়া উপস্থিত। বলিল, “আমার স্ত্রীর এই অবস্থা, আমার মেয়ের এই অবস্থা, আমায় রক্ষা কর।” সে বলিল, “রক্ষাকৰ্ত্তা আমি নহি, সে ভগবান! ভগবানের শরণা লাও ।” বিহারী বলিল, “আমি যে ভগবানকে ডাকিব, সে শক্তি নাই। সম্মুখে আমার সর্বস্ব স্ত্রী ও কন্যা মারা যায়, আমার মনে সে জোর কোথায় যে, ভগবানের উপর নির্ভর করিয়া নিশ্চিন্ত থাকি ? তুমি রক্ষা কর।” মাঝি বলিল, “তোমার স্ত্রীর যে বারাম কইয়াছে, জলের ক্ষোভ হইলে অনেকেরই ওরূপ হয় । জল স্থির হইলে উহু, আর থাকিবে না। তুমি একটু শান্ত হও। এতবার সমুদ্রযাত্রা • করিয়াছ, তুমি উতলা হও কেন ? তোমার মেয়ের প্রাণের কোন ভয় নাই । সে ঢেউ দেখিয়া ভয় পাইয়াছে, ঢেউ থ’মিলেই সুস্থ হইবে।” বিহারী বলিল, “আমার আর সয় না, তুমি ইহার একটা বিহিত কর, নহিলে আমি প্ৰাণত্যাগ করিব ; ঐ শুনি, আবার বাতাস গো গো করিতেছে, আবার ঝাপ্টা আসিবে। আবার পর্বতপ্ৰমাণ ঢেউ আসিয়া নৌকা খানাকে উল্টাইয়া পাণ্টাইয়া ফেলিবে।” মাঝি বলিল, “মশাই, আমি এই ঢেউ থামাইয়া দিতে পারি, কিন্তু তাহাতে আপনার ৭৮ লক্ষ 8