পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

তৃতীয় পরিচ্ছেদ টাকা ক্ষতি হইবে, সহিতে পরিবেন ত বলুন।” বিহারী বলিল, “আমার যথাসর্বস্ব যায়, সেও আচ্ছা, আমার স্ত্রী ও কন্যা যেন প্ৰাণ পায় ও সুস্থ হয়।” “আচ্ছা, তবে আপনি ঘরে যান, আমি যাহা জানি, করিয়া ফেলি।” বলিয়া মাঝি আর একজন মাঝিকে ডাকিয়া কি বলিয়া দিল । ” সে নৌকার খোলের ভিতর গেল আর সমস্ত মাঝি-মাল্লা ডাকিয়া ৫০টা - গর্জন তেলের পীপা বাহির করিয়া পাটাতনের উপর রাখিল।। ঝড় যখন খুব জোরে আসিতেছে, তখন সেই পীপার সমস্ত তেল সমুদ্রের মধ্যে। ঢালিয়া দিতে লাগিল । অনেক কষ্টের সংগ্ৰহ করা তেলের পীপাগুলি । এইরূপে নষ্ট করায় বিহারীর মনে একটু কষ্ট হইল বটে, কিন্তু সে কিছুই বলিল না । তেল যতদূর যাইতে লাগিল, সমুদ্র স্থির হইতে লাগিল ; বাতাসের যে জোর, সেই জোরই রহিল, কিন্তু সমুদ্রে আর ঢেউ উঠে না । সমুদ্র BBBD DBD DBDB DBDBDSBD SLBYJ DBDB BBBS DD DD DS বেণেবীে একটু সুস্থ হইল, তাহার বমি থামিয়া গেল। মেয়েও সুস্থ হইল ; বেণেরও মনটা ঠাণ্ডা হইল, সে মাঝিকে অনেক টাকা পুরস্কার দিবে স্বীকার করিল। মাঝির উপর তাহার বিশ্বাস খুব বাড়িয়া গেল। ঝড় তখনও সমানে বহিতেছে। মাঝি দত্ত মহাশয়কে নিকটে ডাকিয়া, পাঠাইল। বেলা তখন দুপার। বিহারী মাঝির ঘরে বসিয়া দেখিল, তাহার নৌকা স্থির সমুদ্রের উপর দিয়া বেগে উত্তর-পশ্চিম মুখে যাইতেছে। তাহার সব ডিঙ্গাগুলি দূরে দূরে দেখা যাইতেছে। মাঝি বলিল- “ঝড়ে আমাদের বড়ই উপকার করিয়াছে, আমরা এক বেলায় ৭৮ দিনের পথ আসিয়া পড়িয়াছি। আজি সন্ধ্যার পূর্বেই হউক বা একটু পরেই झटक গঙ্গার মোহানায় গিয়ে পহুছিব ।” 8》