পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে । তাঙ্গার সেই প্ৰাৰ্থনা ; সিদ্ধাচাৰ্য্য দেখিলেও তাহার সেই প্রার্থনা-কেমন করিয়া আবার পরলোকে স্বামীর সহিত গিয়া মিলিব। সে ত এইরূপে কায়মনচিত্তে মৃত স্বামীর সেবায় নিযুক্ত, ওদিকে কিন্তু তাহার বিরুদ্ধে ঘোরতর ষড়যন্ত্ৰ চলিতে লাগিল। [ R ] মায়া বিধবা হওয়ার পর হইতেই কয়েকজন ভিক্ষুণী সৰ্ব্বদাই তাহার রাড়ী আনাগোনা করিত । তাহাদের কেহ বুড়ী, কেহ আধাবয়সী, কহ কেহ বা যুবতী ছিল। বুড়ী যিনি, তাহার গাল তুবড়াইয়া গৈয়াছিল, চক্ষু কোটরগত, মাথাটি প্রায়ই নেড়া, যে দু' চারগাছা চুল উঠিত, তাহাও শণের নুড়ীর মত কেঁকড়া আর পাক। হাড়গুলি প্রায় }ণা যায়, হাতগুলি নলি-নলি, পা সরু সরু, পেটটি কিন্তু গজেন্দ্রের মত भएश्, যেন খোলে পড়িয়া আছে। চামড়া প্ৰায় কুঁচকাইয়া আসিয়াছে। ড়িী টুকনী হাতে কারিয়াই আসিত—মুষ্টিভিক্ষা লইবার জন্য। সে কিন্তু ानै মুষ্টিভিক্ষা দেওয়া হয় সেখানেই যাইত না, একেবারে যেখানে আপনার মনের দুঃখে একাকী বসিয়া থাকিত, সেইখানে গিয়া পাস করিয়া বসিয়া পড়িত। সে হাড় কখানাতে কিন্তু ধপাস শব্দ না ঠক-ঠক শব্দই হইত। সে বসিয়াই একটা দীর্ঘনিঃশ্বাস ছাড়িত ঠুমার বলিত, “আহা মা, এত কঁাচা বয়সে তোর এ দশা হ’ল, দেখলে প্লাষণও গলিয়া যায়। আহা, রক্ত-মাংসের শরীর ত বটে, কেমন ক’রে জীবনটা এইভাবে হাহুতাশ ক’রে কাটুবে ? তোর কথা মনে হ’লে, }া, আমি চোখের জল সামলাইতে পারি না।” বলিয়াই বুড়ী আঁচল সে কাপড়ের কি আঁচলাই আছে ছাই,--আপনার চোখ GR