পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৬০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বেণের মেয়ে উৎসাহ বাড়ে, মনে দৃঢ়তা জন্মে, শরীরে যেন মত্ত হস্তীর বলা হয়। বিষাক্ত ঔষধ খাইলে শরীরে যেমন রক্ত সঞ্চালন বেশী হয়, কন্যার এই বিপদে বিহারীরাও তাঁহাই হইল। তঁহার সব উৎসাহ, সব উদ্যম, সব রোখি, সব ঝোঁক ফিরিয়া আসিল। কিন্তু সে কিছুই প্ৰকাশ করিল না। বাড়ী ফিরিল । বেশীক্ষণ ভাবিল না, চিন্তিল না । আপনার মোকামে মোকামে বিশ্বাসী লোক দিয়া কি খবর লইতে লাগিল । কি খবর, আমরা জানি না, সে অতি গোপন কথা । তবে আমরা জানি, বিহারী রাউত আশ্রমের বেণে । ছাউনিতে ছাউনিতে মসলা বেচা তাহার পৈতৃক ব্যবসা। বাঙ্গালায় তখন অনেক রাজ। সকলেরই দশ বিশটা ছাউনি। বিহারীর মোকামও সব ছাউনিতে । তার বড় গোলা সাতগায়ের গঙ্গার ধারে । সেখানে সে পাহারা বাড়াইয়া দিল, গোলার পাচীীল মেরামত করাইল । খাদে যাহাতে জল থাকে, তাহার ব্যবস্থা করিল। পশ্চিম হইতে বড় বড় চৌহান, রাঠোর, পাওয়ার আনাইয়া সাতগায়েও মোকামে মোকামে দরওয়ান রাখিল এবং তলায় তলায় খবর লইতে লাগিল, ব্যাপারখানা কি ? তাহার বেশ ধারণা হইল, মায়াকে সজেঘ লইয়া যাইবার জন্য বৌদ্ধদের ভিতরে একটা ষড়যন্ত্র হইতেছে ; কিন্তু বিহারীর ভয়ে তাহারা আপনাদের মতলব হাসিল করিতে পারিতেছে না । তাদের ভিতরেও আবার দলাদলি আছে। মহাযান, বিজযান ও সহজিয়া সকল দলেরই চেষ্টা, মায় তাহদের দলে আসে ; সে জন্যও তাহদের মতলব হাসিল করিতে দেরী হইতেছে । আর মায়া-সে। আপনার স্বামী ছাড়া আর কাহার ও কথা মনেই স্থান দেয় না। যা কিছু করে-স্বামীর স্বৰ্গার্থপরূঢ়লাকে স্বামীর যাহাতে মঙ্গল হয়, তাহারই জন্য । অন্য কথা সে VfL a Vo