বেণের মেয়ে ক্ষতি কি ? প্ৰসিদ্ধ বৌদ্ধযোগী বাড়ী আসিলে তঁাতার মৰ্য্যাদা রক্ষা কব: সবারই উচিত। আর মানতের কথা- রোগী, আৰ্ত্ত, পীড়িত সকল লোকেৰ কাছে, সকল দেবতার কাছেই, শান্তির আশা করিতে পারে। তাহাতে তাতাদের সমাজের কোন ও ক্ষতি হয় না। আসল কথা, গৃহ্যসূত্ৰোক্ত সংস্কারের। সে গুলি রীতিমত হইলেই চাতুৰ্ব্বণ্য সমাজে সে স্তান পাইবে ? একজন আপত্তি করির বলিলেন, এখন অনেক পাষণ্ডমতাবলম্বীরা ও তাদেব মনের মত এক রকম সংস্কারের ব্যবস্থা করিয়াছে। তাহাতে ভবদেব বলি লেন, গহ্যসূত্ৰোক্ত বিধানে সংস্কার হওয়া চাই । প্ৰতিনিধি বাহিরে গিয়া জিজ্ঞাসা করিলেন, সংস্কার করায় কে ? উত্তর হইল ব্ৰাহ্মণে । তখন বেণ দের চাতুৰ্ব্বণা-সমাজে স্থান আছে, ঠিক হইয়া গেল। 8 এখন কথা হইল, তাতারা কোন বর্ণ ? এইবার ঘোর বাদানুবাদ চলিল । ত্ৰিবিক্রম বার বার গাঁথাঘর। ( গ্ৰন্থাগার ) তইতে পুথি অনিয়া খুলিয়া পরিষদের সম্মুখে উপস্থিত করিতে লাগিলেন। একজন বলিলেন, —“নন্দান্তাঃ ক্ষত্ৰিয়াঃ” ক্ষত্ৰিয়েরই লোপ হইয়াছে । বৈশ্যের ত লোপ হয় নাই । বেণের বৈশ্য বৃত্তি করে, সুতরাং ত্যাচারা বৈশ্যই। বৈশ্য হইলে সে ত ত্ৰৈবণিক হইবে । তাহার বেদে অধিকার থাকিবে । তাতাদের তা অনেক দিন বৈদিক ক্রিয়া কলাপ লোপ হইয়াছে। এখন তাঙ্কাদের বেদে অধিকার দিতে হইলে বড়ই মুস্কিলের কথা। তাঙ্গাদের বাড়ীতে সকল ব্রাহ্মণকেই অন্ততঃ ফলাহার করিতে হইবে। তখন ত্ৰিবিক্রম মহা ফাফরে পড়িলেন, রাশি রাশি পুথি আনিতে লাগিলেন, কিন্তু বচন পাওয়া যায় না । শেষ এক বচন বাহির হইল, “কলাবাদ্যশ্চ অস্তাশ্চ” কলিতে আদি ও অন্তবর্ণ ছাড়া অন্য বর্ণ নাই। সুতরাং বিহারী দত্ত ও তাহার জাতি-ভাই সকলেই শূদ্র । Gdr
