পাতা:বেণের মেয়ে - হরপ্রসাদ শাস্ত্রী.pdf/৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম পরিচ্ছেদ তাহার পর প্রশ্ন হইল, বিহারীর দেহান্তে তাঙ্কার ধন কে পাইবে ? তাহার এমন কি নিকট সপিণ্ড-জ্ঞাতি ও নাই । তখন ভবদেব বলিলেন,- সে কথা আমি অনেক দিন স্থির করিয়া রাখিয়াছি, সে পোষাপুত্র লাউক । তাহার একটি শু্যালক আছে, এখনও তাহার বিবাহ হয় নাই । সে সেই টিকেই পোষাপুত্র লাউক । “আর তাহার কন্যা ?” “সাধু ধনীর পুত্রবধু ? সে ও ধনী বংশের কোন একটি ছেলেকে পোষা পুত্র লাউক ; ধনী বংশের ছেলের অভাব নাই ।” এই দুই কথায় সকলেই সন্মত হইলেন । স্তির হইল, বেণের শূদ্র , বিহারী শালাকে পোষাপুল্ল লিউক, আর তাতার মেয়ে ধনী বংশের কোন ছেলেকে পোষ্যপুত্র লাউক । ত্ৰিবিক্ৰম এই মৰ্ম্মে ব্যবস্থা লিখিয়া আনিল, সকলে স্বাক্ষর করিলেন । ব্যবস্থাপত্ৰ লইয়া ত্ৰিবিক্রম বিহারীর কৰ্ম্মচারীর তস্তে দিল । কৰ্ম্মচারী তোেলবট স্বরূপ প্ৰত্যেক পারিষদকে তাজার করিয়া টাকা দিলেন, আর ত্ৰিবিক্রমকে যথেষ্ট অর্থ দিয়া সম্বুষ্ট করিয়া দিলেন । সভা ভঙ্গ হইল । অধ্যাপকগণ দুচার দিন নিমন্ত্রণ খাইয়া। আপনি আপন দেশে চলিয়া গেলেন । শ্ৰীধরের জন্য আবার ছিপের বন্দোবস্ত চাইল । ଜଳଜ