পাতা:বেতালপঞ্চবিংশতি.pdf/১৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটিকে বৈধকরণ করা হয়েছে। পাতাটিতে কোনো প্রকার ভুল পেলে তা ঠিক করুন বা জানান।
১২৬
বেতালপঞ্চবিংশতি
১২৬

প্রহার দ্বারা তাহার শিরশ্ছেদ করিলেন। তখন কন্যা অকৃত্রিম সন্তোষ প্রদর্শনপূর্ব্বক কহিল তুমি দুর্দান্ত রাক্ষসের হস্ত হইতে মুক্ত করিয়া আমারে জীবনদান করিলে। আমি এত দিম কি পর্য্যন্ত যন্ত্রণাভোগ করিয়াছি বর্ণনা করিতে পারি না।

রাজা জিজ্ঞাসিলেন সুন্দরি কি কারণে তুমি এতাবৎ কাল পর্য্যন্ত এই দারুণ দৈবদুর্বিপাকগ্রস্ত ছিলে বল।

সে কহিল মহারাজ শ্রবণ কর আমি বিদ্যাধরনামক গন্ধর্ব্বরাজের কন্যা। নাম রত্নমঞ্জরী। ভোজনকালে আমি নিকটে উপবিষ্ট না থাকিলে পিতার তৃপ্তি হইত না। এজন্য নিত্যই ভোজনসময়ে তাঁহার সন্নিহিত থাকিতাম। এক দিন বাল্যখেলায় আসক্ত হইয়া ভোজনবেলায় গৃহে উপস্থিত ছিলাম না। পিতা আমার অপেক্ষায় বুভুক্ষায় কাতর হইয়া ক্রোধভরে এই শাপ দিলেন অদ্যাবধি তুমি রসাতলবাসিনী হইবে এবং কৃষ্ণ পক্ষের চতুর্দশীতে এক রাক্ষস আসিয়া অশেষপ্রকার যন্ত্রণা দিবে। আমি শুনিয়া অত্যন্ত কাতর হইলাম এবং পিতার চরণে ধরিয়া বহুবিধ স্তুতি ও বিনীতি করিয়া নিবেদন করিলাম পিতঃ আমার দূরদৃষ্টক্রমে সামান্য অপরাধে গুরু দণ্ড বিধান করিলেন। এক্ষণে কৃপা করিয়া শাপমোচনের কোন উপায় করিয়া দেন নতুবা কত কাল যন্ত্রণাভোগ