পাতা:বেদান্তগ্রন্থ - রামমোহন রায়.pdf/১০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

6वांठ?श् وV) দুইটী মন্ত্রে একই সম্প্রসাদের কথা বলা হইয়াছে। শরীর হইতে সমুখান, দুই মন্ত্রে একই অর্থ বুঝায় ; যাহাকে পাইতে হইবে (উপসম্পদ্য) সেই পরং জ্যোতিঃ একই ; স্বেনী রূপেণ অভিনিম্পন্ন হওয়া অর্থাৎ স্বরূপ প্ৰাপ্ত হওয়াও একই অবস্থা । প্ৰথম মন্ত্রে বলা হইয়াছে এই সম্প্রসাদ আন্নাই, দ্বিতীয় মন্ত্রে বলা হইয়াছে ইনি উত্তম পুরুষ, এইমাত্র প্রভেদ। সুতরাং দুইটী মন্ত্রের অর্থবোধই সাধকদের কর্তব্য। আচাৰ্য শঙ্কর ১।৩।১৯ সূত্রে এই দুই মন্ত্রের আলোচনা করিয়া বলিয়াছেন যে পরং জ্যোতিঃ ব্ৰহ্মই। ব্ৰহ্মই কুটস্থনিত্যদৃক্স্বরূপ ; তাহাই পরং জ্যোতিঃ । বিবেকভজ্ঞানোৎপত্তির পূর্বে, শরীর, ইন্দ্ৰিয়, মন, বুদ্ধি, বিষয় এবং হর্ষ শোক প্ৰভৃতি উপাধি সংযোগে জীব নিজকে দ্রষ্টা, শ্রোতা, মন্ত, বিজ্ঞাত বলিয়া উপলব্ধি করে ; ইহাই তার জীবত্ব । শুদ্ধ স্ফটিক স্বচ্ছ এবং শুক্ল, ইহাই তার স্বরূপ ; রক্ত, নীল, পীত প্ৰভৃতি রং যুক্ত হইলে ঐ স্বচ্ছ স্ফটিকই রক্ত বা নীল বা পীত বলিয়া বোধ হয়, এবং তাহা স্ফটিক হইতে ভিন্ন জ্ঞান হয় ; ঐ সকল রং অপসারিত হইলে স্ফটিক আবার স্বচ্ছ, শুক্লই হয় । তেমনি অহং ব্ৰহ্মাস্মি, তত্ত্বমসি ইত্যাদি মহাবাক্যের মননের ফলে জীবের দেহাদি উপাধিসংযোগ নাশ হয় এবং বিবেক-জ্ঞানের উদয় হয় ; এই বিবেক জ্ঞানই জীবের শরীর হইতে সমুখান ; বিবেক-জ্ঞানের ফলে উৎপন্ন “অহং ব্ৰহ্মাস্মি’ এই বোধই স্বরূপে অভিনিম্পন্ন হওয়া বা স্বরূপ প্ৰাপ্তি ; এই অবস্থায় জীব ব্ৰহ্মই হয় ; ইহাই ১৯ সূত্রে বর্ণিত স্বরূপের আবির্ভাব দ্বিতীয় মন্ত্রে উক্ত উত্তমঃ পুরুষঃ বাক্যটীর তাৎপৰ্য কি ? ছান্দোগ্য (৮৭৪ ) মন্ত্রে প্রজাপতি ইন্দ্রকে উপদেশ দিলেন অক্ষিতে দৃষ্ট পুরুষই আত্মা ; কিন্তু ইহাতে দোষ উপলব্ধ হওয়াতে প্ৰজাপতি ইন্দ্রকে পুনরায় বলিলেন স্বপ্নপুরুষই আত্মা (য এষ স্বপ্নেমহীয়মানশ্চরতি এষ আত্মা । ছাঃ ৮|১০|১)। ইহাতেও ইন্দ্রের সংশয় হওয়াতে প্ৰজাপতি বলিলেন “যিনি নিদ্রায় মগ্ন হইয়া সংপ্ৰসন্ন হন এবং স্বপ্নও দেখেন না, ইনিই আত্মা” ; পুনরায় বলিলেন “এই আত্মাই অমৃত, অভয় ; ইনি ব্ৰহ্মই”। (তদ যদাত্র এতৎ সুপ্ত: সমস্ত:- সংপ্ৰসন্নঃ স্বপ্নং ন বিজানাতি এষ আত্মেতিহোবাচ। এতদ অমৃতম অভয়াম এতদ ব্ৰহ্ম। ছাঃ ৮৷৷১১৷৷১)। কিন্তু তবুও ইন্দ্রের সংশয় হওয়াতে প্ৰজাপতি ইন্দ্ৰকে বলিলেন যে আত্মা অশরীর ; অশরীর ব্যক্তিকে প্রিয়াপ্ৰিয় স্পর্শ করিতে পারে না ; এবং তারপর দ্বিতীয় মন্ত্রে উক্ত উপদেশ দিয়া বলিলেন,