পাতা:বৈকুণ্ঠের খাতা - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
বৈকুণ্ঠের খাত ।

কি—অণপনার লেখার স্থানে স্থানে যথার্থই রোমাঞ্চ হয়— তা, কি বলে, আপনার মুখের সামনেই বল্লুম।

 বৈকুণ্ঠ। বুঝেছি আপনি কোন্ জায়গার কথা বল্চেন, সেখানটা লেখবার সময় আমারই চোখে জল এসেছিল যদি আপনার বিরক্তি বোধ না হয় ত সেই জায়গাটা এক বার পড়ে শোনাই।

 কেদার। বিরক্তি! বিলক্ষণ! ওর নাম কি, আমি আপনাকে ঐ জায়গাটা পড়বার জন্যে অনুরোধ করতে যাচ্ছিলুম। (স্বগত) শ্যালীটিকে পার করা পর্য্যন্ত, হে ভগবান্, আমাকে ধৈর্য্য দা ও—তার পরে আমার ও একদিন আসবে!

 বৈকুণ্ঠ। কি বল্চেন কেদার বাবু?

 কেদার। বলছিলুম যে,— ওর নাম কি—সাহিত্যের কামড় কচ্ছপের কামড়, যাকে এক বা র ধরে — ওর নাম কি —তাকে তার সহজে ছাড়তে চায় না। আহা, অমন জিনিষ কি আর আছে?

 বৈকুণ্ঠ। হাহাহাহা! কচ্ছপের কামড়! আপনার কথাগুলি বড় চমৎকার।—এই যে সেই জায়গাটা! তবে শুনুন্। — হে ভারতভূমি, এক সময়ে তুমি প্রবান বীর্য্যবান্ পুরুষদিগের তপোতুমি ছিলে; তখন রাজার রাজত্ব ও তপস্যা ছিল কবির কবিত্বও তপস্যারই নাম স্তর ছিল। তখন তাপস জনক রাজ্যশাসন করিতেন, তখন তাপস বাল্মীকি