পাতা:বৈকুন্ঠের উইল - শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈকুণ্ঠের উইল Vy করিল না। গোকুল সেই যে মাথা হেঁট করিয়া দাড়াইয়াছিল, ঠিক তেমনি করিয়া একভাবে কাঠের পুতুলের মত দাড়াইয়া রহিল । চক্ৰবৰ্ত্তী কাহারও কোন কথার জবাব না দিয়া প্রভুকে উদ্দেশ করিয়া নমস্বরে কহিল, তা হ’লে খাতপত্রগুলো আমি নিয়ে চললুম। সিন্দুকের চাবিটা দিন। গোকুল বিনাবাক্যব্যয়ে কোমর হইতে চাবির তোড়াটা চক্ৰবৰ্ত্তীর, পায়ের কাছে ছুড়িয়া ফেলিয়া দিল । চক্ৰবৰ্ত্তী চাবি ট্যাকে গুজিয়া, খাতা বগলে পুরিয়া হাসি চাপিয়া হেলিয়া দুলিয়া প্ৰস্থান করিল। তাহার এই প্ৰস্থানের অর্থ যথেষ্ট প্ৰাঞ্জল। সুতরাং কাহাকেও কোন প্রশ্ন না করিয়াই, বদিপাড়ার নিমাই রায়ের কালো মুখের উপর কে যেন সংসারের সমস্ত কালি ঢালিয়া দিয়া গেল । অতঃপর এই মন্ত্রণাগৃহের মধ্যে যে দৃশ্যটি ঘটিল, তাহা সত্যই অনির্বচনীয়। পিতা ও ভ্রাতার এই অচিন্ত্যনীয় বিকট লাঞ্ছনায় মনোরমা জ্ঞানশূন্য হইয়া স্বামীর প্রতি উৎকট তিরস্কার, গঞ্জনা, সর্বপ্রকার বিভীষিকা প্ৰদৰ্শন, অনুনয় বিনয় এবং পরিশেষে মৰ্ম্মান্তিক বিলাপ করিয়াও যখন র্তাহার মুখ হইতে পিতার স্বপক্ষে একটা কথাও বাহির করিতে পারিল না, তখন সে মুখ গুজিয়া মৃতপ্রায় হইয়া পড়িল। গোকুল লজ্জায় BBD DDD DBDD DDB BBS D DB BB DB BDB হুকুম দেবেন, সে আমি কি করে জানিব ? নিমাই একটা সুদীর্ঘ নিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন, যাক বঁচা গেল। একটা মস্ত ঝঙ্কাটের হাত এড়ালুম। ওদিকে