পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ४१ j করিতে বাধ্য হন। যখন তৃতীয় মূলজাতির বাহদেহ বিভিন্ন চৰ্ম্মাধরণে আবৃত হইয়া অধিক ক্ষরিত, এবং মস্তিষ্কও অন্নাধিক ক্ষরিত, তখন উপরোক্ত দেবগণ মানবমন সৃষ্টি করেন। মানবমন স্বষ্টির সহিত ইহাতে জ্ঞানশক্তি ক্ষরিত হইতে আরম্ভ হয় এবং সেই সঙ্গে মানবের পূর্বতন আধ্যাত্মিকতার হ্রাস হইতে থাকে । বাইবলমতে জ্ঞানবৃক্ষের ফলাস্বাদনে সমগ্র মানবজাতির যে পতন উল্লিখিত, তাহীতেও মানবের উপরোক্ত আধ্যাত্মিক অধঃপতন জানায়। অনেকে এ সকল কথা শাস্ত্রের অলীক উপকথা মনে করেন। কিন্তু যোগসিদ্ধ মহর্ষিগণ যোগবলেই ঐ সকল মহাসত্য প্রাপ্ত হন এবং প্রায় সকল ধৰ্ম্মশাস্ত্রেই এ সকল কথার উল্লেখ দেখা যায়। হিন্দুশাস্ত্রের অনেকস্থলে এরূপ লিখিত, স্বর্গের দেবগণ শাপভ্রষ্ট হইয়া মর্ত্যে আবিভূত। এ সকল কথার কোন বৈজ্ঞানিক প্রমাণ দেওয়া অসম্ভব। অতএব শাস্ত্রের কথা অন্ধবিশ্বাসের সহিত আমাদের গ্রহণ করা উচিত । তৃতীয় মূলজাতি প্রথমে উভলিঙ্গ, পরে একলিঙ্গ হইয়া আধুনিক মানবের হ্যায় স্ত্রীপুরুষে বিভক্ত। এই স্থলেই দেবরূপী অযোনিসম্ভব মানব প্রকৃত যোনিসম্ভব হন। লিঙ্গভেদের পরই এই জাতিতে জ্ঞানশক্তি স্বরিত হইতে থাকে এবং সেই সঙ্গে আধ্যাত্মিক অধঃপতন আরম্ভ হয়। এই পতনবশতঃ সকলদেশে যোনিসম্ভব মানব অপবিত্র এবং প্রত্যেক ধৰ্ম্ম তাঁহাকে নিজ নিজ সংস্কারানুসারে পবিত্র করিয়া লয়। ইহার জন্তই খৃষ্টধৰ্ম্ম স্বপ্রভু যীশুখৃষ্টের অলৌকিক জন্মবৃত্তান্ত প্রচার করে। এই জাতি হইতেই মানবের অঙ্গসৌষ্ঠব ক্রমশঃ প্রকাশিত হয়। এ জাতি ত্ৰিনয়নবিশিষ্ট ; কিন্তু জ্ঞানশক্তির আবির্ভাবের সঙ্গে তৃতীয় নয়নটী ক্রমশঃ অপগত হইতে আরম্ভ হয়। এ জাতি সমুদ্রগর্ভস্থ অগ্নি দ্বারা বিনষ্ট । g চতুর্থ মূলজাতি আটলাণ্টিস মহাদ্বীপে আবিভূত। ইহারাই শাস্ত্রে অক্ষরাদি নামে অভিহিত। জম্বুদ্বীপবাসী মানবের সহিত তুলনায় ইহার দীর্ঘকায় বলিষ্ঠ ও দীর্ঘজীবী। ইহার বাক্যকথন ভাষা প্রস্ফরিত করে, এজন্য আদিম ভাষাকে রাক্ষসী ভাষা বলে। ইহার সভ্যদেশোচিত শিল্পাদি প্রচলিত করিয়া সভ্যতাসোপানে আরূঢ় হয় । ইহার গোধুমাদির ব্যবহার প্রচলিত করে।