পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ và ]

  • জগতে মৈথুন ধৰ্ম্ম প্রবর্তন।

ইতি পূৰ্ব্বে উল্লেখ করা গিয়াছে, লিমুরিয়া মহাদ্বীপে যে তৃতীয় মূলজাতি উৎপন্ন, উহার প্রথমে উভলিঙ্গ, পরে একলিঙ্গ হইয়া আধুনিক মানবের ন্যায় স্ত্রীপুরুযে বিভক্ত। উহার জগতে অসুর, দানব ও দৈত্য নামে খ্যাত । এ জাতির চতুর্থ শাখাজাতিতে স্ত্রীপুরুষ বিভক্ত। এ জাতি শুক্রগ্রহ কর্তৃক পালিত ; এজন্য পুরুষের বীৰ্য্যের নাম শুক্র । এ জাতির পূৰ্ব্বে মানব দেবরূপে অযোনিসম্ভব এবং স্ত্রীপুরুষে বিভক্ত হইবার পরই তিনি যোনিসম্ভব এবং জগতে আধুনিক মৈথুনধৰ্ম্ম প্রবর্তিত । এখন উপরোক্ত মতটা কতদুর প্রমাণসিদ্ধ, তাহ বলা যায় না । থিওসফিক্যাল পুস্তকে ঐ মতটা দেখিতে পাওয়া যায় মাত্র । এখন আধুনিক উন্নত জড়বিজ্ঞান এ বিষয়ে কিরূপ মতামত প্রকাশ করে, তাহারও অনুসন্ধান লওয়া উচিত। কিন্তু বিজ্ঞান এখনও অসম্পূর্ণ ; ইহা স্পষ্ট নির্দেশ করে, পৃথিবীতে কোন যুগে স্ত্রীপুরুষ উৎপন্ন হইয়া আধুনিক সস্তানোৎপত্তিপদ্ধতি প্রবর্তিত, তাই নির্ণয় করা অতীব দুঃসাধা । খৃষ্টধৰ্ম্ম এ সমস্তাট এককথায় খণ্ডন করে। ইহার মতে সৰ্ব্বশক্তিমান ঈশ্বর স্বষ্টিকালে আদি মানব আদামের একখণ্ড পঞ্জরাস্থি লইয়া আদি স্ত্রী ঈভকে স্বজন করেন। যেমন ধৰ্ম্ম, তেমনি উহার ব্যবস্থা। বিবৰ্ত্তবাদী পণ্ডিতদিগের নিকট এই মতটী হাস্তোদ্বীপক মাত্ৰ ; র্তাহার। ইহাকে কদাচ গ্রাহ করিতে পারেন না। জীবতত্ত্ব পাঠে অবগত হওয়া যায়, যে মৈথুনধৰ্ম্ম জীবজগতে কেবল উৎকৃষ্ট জন্তুদিগের ভিতর দৃষ্ট হয় ; তদ্ভিন্ন অনেক নিকৃষ্ট জঞ্জ এ মুখে একেবারে বঞ্চিত। তাহার। অমিশ্ৰসংযোগ বা মুকুলজন্ম দ্বারা সস্তানোৎপাদন করে। জীবজগৎ পৰ্য্যালোচনা করিলে, আরও বুঝিতে পারা যায়, যে অনেক জীব স্ত্রীপুরুষে আদে বিভক্ত হয় নাই এবং উহারা উভলিঙ্গ ; উহাদের দুই প্রকার জননেন্দ্রিয় একাধারে মিলিত । বিজ্ঞানের মতে মানবও একসময়ে উভলিঙ্গ ছিলেন ; সেজন্ত পুরুষজাতিতে স্তনযুগল ও জরায়ু এখন অস্কটভাবে বর্তমান এবং সময়বিশেষে ও স্থলবিশেষে প্রকৃতি পূৰ্ব্বাস্থকরণে উভলিঙ্গ মানৰ উৎপাদন করে। কিন্তু বিজ্ঞান ১২