পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১২১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১০৭ ] আনীত হওয়ায়, পরস্পরের কত জাতীয় উন্নতি সাধিত হয় ! ধৰ্ম্মজীবন মহাত্মাগণ অগ্নিকুণ্ডে দক্ষ্মীভূত হইয়া লোকবর্গকে কিরূপ ধৰ্ম্মোপদেশ দিয়া মান ! সেই ভীষণ সমরানল, সেই ভীষণ নরহত্য, সেই ভীষণ যন্ত্রণারাশির ভিতরও ধৰ্ম্ম স্বায় সুবিমল জ্যোতি বিকীর্ণ করতঃ সকলকে সুখের পথ, শাস্তির পথ ও উন্নতির পথ দেখাইয়া দেয়। পৃথিবীতে যতপ্রকার ধৰ্ম্ম মানবসমাজে প্রচলিত দেখা যায়, তন্মধ্যে বৌদ্ধ, খ্ৰীষ্ট, মুসলমান, হিন্দু ও জড়োপাসনা প্রধান। ইহাদের ভিতর কোন না কোন ধৰ্ম্ম আজকাল কোন না কোন দেশে মানবমন অধিকার করিয়া আছে । আবার প্রত্যেক ধৰ্ম্ম যৎসামান্য মত-ভেদ লইয়া ভিন্ন ভিন্ন সম্প্রদায়ে বিভক্ত। চিরকালই ধৰ্ম্মজগতে ধৰ্ম্মের মতামত লইয়া ঘোরতর বিবাদ-বিসম্বাদ প্রচলিত। এক ঈশ্বরের রাজ্যে এক প্রকার ধৰ্ম্ম সংস্থাপনের জন্য সকল দেশের ধৰ্ম্মী য়াগণ সবিশেষ প্রয়াস পান ; এমন কি, তাহারা পুরাকালীন সহস্ৰ সহস্ৰ ধৰ্ম্মগ্রন্থ নষ্ট করিয়া মানবের জাতীয় জ্ঞানভাণ্ডার সম্যক লুণ্ঠন করেন এবং শত শত দেবালয় ভগ্ন করিয়া পূৰ্ব্বতন ধৰ্ম্মের সমূলোচ্ছেদ সাধন করিতে চেষ্টা পান ; কিন্তু তাহাদের সকল চেষ্টাই বার্থ। এ জগতে কেহই এক ধৰ্ম্ম স্থাপন করিতে সমর্থ হন নাই। অনস্ত বৈচিত্র্যবিশিষ্ট পৃথিবীতে ধৰ্ম্মসম্বন্ধে একমত হওয়া অসম্ভব। যেমন জীবজগতে এমন ঘোরতর জীবসংগ্রামসত্বেও বিভিন্নজাতীয় অসংখ্য জীব বর্তমান, সেইরূপ ধৰ্ম্মজগতেও মতামত সম্বন্ধে এত বিবাদ বিসম্বাদসত্ত্বেও বিভিন্ন ধৰ্ম্ম পৃথিবীতে চিরদিন বর্তমান। শাস্ত্র পাঠে অবগত হওয়া যায়, যে স্বষ্টির সত্য ত্রেতা দ্বাপর যুগে সনাতন অকৃত্রিম ধৰ্ম্ম জগতে প্রাজুভূত ছিল নিগুণ ব্রহ্মোপাসনা ও যোগাভ্যাসই ইহার প্রধান অঙ্গ। পরে কলিযুগে মানবের আধ্যাত্মিক অধঃপতন বশতঃ ও কৃত্রিম জ্ঞানশক্তির প্রবলতাবশতঃ সংসারে কৃত্ৰিমধৰ্ম্ম প্রবল হয়। যে সকল ধৰ্ম্ম লোকবিশেষকর্তৃক প্রচারিত, তাহাই কৃত্ৰিমধৰ্ম্ম ; এজন্ত খ্ৰীষ্টাদি কৃত্রিম ধর্শ্বের আজকাল এত প্রান্ধৰ্ভাব ও এত প্রতিপত্তি। ইহাদের অত্যচারে সনাতন অকৃত্রিম ধৰ্ম্ম এখন সকল দেশে লুপ্তপ্রায়। এই সকল ধৰ্ম্ম ভালরূপ পর্যালোচনা করিলে, আমাদের স্পষ্ট প্রতীতি হয় যে, প্রত্যেক ধৰ্ম্মে দুইটা রূপ बिनामांम, ५की हेझांब्र *JGR” ( Exoteric form ), wo