পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ 588 J থাকে না। অতএব অবতার পূজা করিয়া হিন্দুধৰ্ম্ম অস্তান্ত ধৰ্ম্ম অপেক্ষ ষে মহোচ্চ ভাব দেখায়, তাহাতে অণুমাত্র সন্দেহ নাই। যে অদ্বৈতবাদী হিন্দু নিগুণ, নিৰ্ব্বিকার পরব্রহ্মের অস্তিত্ব বুঝিয়া সমগ্র জগং ব্রহ্মময় বলেন, তাহার নিকট তুমিও ব্রহ্ম, আমিও ব্রহ্ম, তুমিও “তত্ত্বমলি, আমিও "সোহহম্”, তাহার নিকট সাকারপূজন পরব্রহ্মের কিছুমাত্র অবমাননা নহে এবং অবতার পূঞ্জনও তাহার নিকট পরব্রহ্মের অবমাননা নহে ; বরং ইহাতেই তাহার ব্ৰহ্মভক্তি সম্যক ফুরিত ও প্রকাশিত হয়। যে সনাতন হিন্দুধৰ্ম্ম মায়াতীত, গুণাতীত পরব্রহ্মের মায়ারূপ ত্রিমূর্তি দেখাইয় তাহাকে তোমার মায়াময় স্থলমনের সম্যক ভাব্য করে, সেই হিন্দুধৰ্ম্ম আবার তোমার আত্মার প্রকৃত মঙ্গলের জন্ত, তোমার মনের সাত্বিকভাবের স্ফৰ্ত্তির জন্ত, সেই পরব্রহ্মের বিশ্বপালক সাত্বিকরূপ বিষ্ণুকে কয়েক অবতারে পৃথিবীতে অবতীর্ণ করায় ; যেখানে অসাধারণ গুণের বিকাশ দেখে, সেইখানেই ঈশ্বররুপ দর্শন করতঃ র্তাহাকেই মানবজীবনের আদর্শ স্বরূপ দেখায় ; তৎপ্রদর্শিত ধৰ্ম্মজীবনের অমুকরণে লোকবর্গকে প্রোৎসাহিত করিবার জন্ত তাহার অসাধারণ গুণগ্রাম ও কীৰ্ত্তিকলাপ কবির সুললিত কণ্ঠে গান করায় । এখন জিজ্ঞান্ত, লোকবর্গকে ধৰ্ম্ম শিক্ষা দিবার জন্ত বা ধৰ্ম্মজগতের উন্নতির জন্ত, ঈশ্বর স্বয়ং জগতে অবতীর্ণ হন কি না ? মানবের জাতীয় ইতিহাস অমুসন্ধান করিলে, আমাদের স্পষ্ট প্রতীতি হয়, যখন সংসারে ধৰ্ম্মের লোপ ও অধৰ্ম্ম প্রবল হয়, তখনই এক এক জন ধৰ্ম্মাত্মা মহাত্মা আবিভূত হইয়া ধৰ্ম্মজগতে মহৎ আন্দোলন করেন ও নুতন ধৰ্ম্মমত প্রচার করেন। তাহারাই ধৰ্ম্ম জগতে যুগাস্তর আনয়ন করেন এবং স্বজীবনে ধৰ্ম্মের জয় ও অধৰ্ম্মের পরাজয় দেখাইয়া জনসাধারণকে যথার্থ ধৰ্ম্ম শিক্ষা দিয়া যান। অবনতির দিকে প্রকৃতি এত অধিক প্রবণ, যে মধ্যে মধ্যে এরূপ ধৰ্ম্মাত্মার আবির্ভাব ব্যতীত জগতে ধর্ণোয়ন্তি হইবার আশা নাই। 卷 কয়েকটা দৃষ্টান্ত উল্লেখ করিয়া এই বিষয়টা সমর্থন করা আবশ্যক। 'ৎকালে বুদ্ধদেব ভারতে অবতীর্ণ হন, তৎকালে জনসাধারণ সামাজিক ধৰ্ম্ম বিষ্কৃত হইয়া যাগুষঙ্গের অনুষ্ঠানে নানাবিধ পশু হত্যা করতঃ হিংসাপর হয়। সাধারণ লোককে ধৰ্ম্ম শিক্ষা দিবার জন্ত তিনি অহিংসা পরম ধৰ্ম্মেয় জয় ঘোষণা