পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/১৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৪৩ ] ঈশ্বর ৰ পয়গম্বর-ঈশ্বর বলিয়া পূজা করে এবং তাহাদিগকে মধ্যস্থ করিয়া নিরাকার ঈশ্বর প্রাপ্তির অভিলাষ করে। বৌদ্ধের বুদ্ধদেবকে নিগুৰ্ণ পরত্রন্ধের স্থলরূপ জ্ঞানে পূজা করে। সেইরূপ এক এক সম্প্রদায়ের প্রবর্তক লোকবিশেষও স্বসম্প্রদায়স্থ লোকবর্গ কর্তৃক সদগুরু জ্ঞানে পূজিত হন। ফলতঃ ঐ সকল মহাপুরুষদিগের প্রতি জনসাধারণের তাদৃশ অলৌকিক ভক্তি ও শ্রদ্ধা ন হইলে, তাহারা কি প্রকারে তাহাদিগের উপদিষ্ট ধৰ্ম্মামৃত পান করিয়া সকল বিষয়ে তাহদের অনুসরণ করতঃ নিজ জীবনের উন্নতিসাধন করিতে পারে ? এ স্থলে তাহীদের উপর যাহার যত তক্তি ও যত বিশ্বাস, তিনিও সেই পরিমাণে ধৰ্ম্মপথে অগ্রসর হন । কেহ কেহ বলেন, যখন আমরা পরমপিতা পরমেশ্বরের সাধারণ পুত্র, তখন পিতার নিকট যাইবার জন্য মধ্যস্থ রাখিবার, পুত্রের কি প্রয়োজন ? তবে কেন আমরা ঈষা, মহম্মদ প্রভৃতিকে মধ্যস্থ করিয়া ঈশ্বরীরাধনা করি ? কাহারও সাহায্য না লইয়া আমরা স্বয়ং ঈশ্বরীরাধনা করিব । কিন্তু মানবের প্রকৃতি যেরূপ, তাহাতে সাধারণতঃ এরূপ হওয়া অসম্ভব। যদি নিরাকার ভজনা করিয়া মানবমন যথার্থ তৃপ্তিবোধ করিত, অথবা যদি নিরাকার ঈশ্বরে অস্তিরিক প্রেম ও ভক্তি প্রদর্শন করা যাইত, কোন দেশের কোন লোক ঈশ্বরের প্রিয়পুত্র, প্রিয়পয়গম্বর বা অবতারের আশ্রয় লইত না । নিরাকার ঈশ্বরকে স্থলমনের সম্যক ভাব্য করিবার জন্য র্তাহার একটা স্থলরূপের নিতান্ত প্রয়োজন । অগ্ৰে তাহার স্থলরূপে অপার ভক্তি ও প্রেম প্রদর্শন কর, তবে তুমি বহু দিবসান্তে নিরাকার ভজনে উপযুক্ত হও । প্রিয়পুত্র, প্রিয়পয়গম্বর ও অবতার এ তিনই নিরাকার ঈশ্বরের স্থলরূপ মাত্র। এখন দেখা যাউক, যাহারা ঈশ্বরের প্রিয়ুপুত্র, প্রিয়পয়গম্বর বা অবতার মানেন, তাহাদের মধ্যে কে সহজে ঈশ্বর লাভ করেন । ইনি ঈশ্বরের প্রিয়-- পুত্র বা প্রিয়পয়গম্বর, ইহাকে মানিলে লোকে সহজে ঈশ্বর পায় ? না ইনিই ঈশ্বর, এরূপ ভাবাতে তাহারা আরও সহজে ঈশ্বর পায় ? সকলেই এক বাক্যে স্বীকার করেন, শেষোক্ত উপায়ে অতি সহজে ঈশ্বর পাওয়া যায়। প্রিয়পুত্র মান বা প্রিয়পয়গম্বর মান, তাহাতে ঈশ্বরের সহিত তোমাদের বিস্তর প্রভেদ থাকে ; কিন্তু অবতার পূজা করিলে, ঈশ্বর ও অবতারে কোনরূপ ভেদাভেদ