পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ماماد ] খানি ঈশ্বরপ্রেরিত ধৰ্ম্মগ্রন্থ না থাকিলে, সে ধৰ্ম্ম জগতে আদে ফুক্তি পায় না। যে ধৰ্ম্মের সেৰকবৃন্দ এক শাস্ত্রানুসারে নিজ নিজ চরিত্র গঠিত করে এবং উছারই জাদেশ ঈশ্বরাদেশ বলিয়া মান্ত করে, সেই ধৰ্ম্মই জগতে স্থায়ী হয় এবং ইহা দ্বারাই জগতের অধিকাংশ লোৰ সম্যক উপকৃত হয় । অতএব মানৰসমাজের প্রকৃত মঙ্গলের জন্ত জমাদ্যধৰ্ম্মগ্রন্থৰে ঈশ্বরপ্রেরিত শাস্ত্র বলিয়া মানা উচিত। যে অষ্টাদশ মহাগুৰুণ নানা সম্প্রদায়ের বৈশেষিক মতামতে পূর্ণ, উহার এক ব্যাসবিরচিত বলিয়া ৰেন জগতে প্রচারিত হইল ? উহাদের প্রতি জনসাধারণের অন্ধfৰশ্বাস উৎপাদনের জন্তই উছারা ব্যাসৰিরচিত বলিয়া প্রখ্যাত হইয়াছে । আদ্য ধৰ্ম্মগ্রন্থ ঈশ্বরপ্রেরিত ছড়ক বা না হউক, যখন ঐরূপ ৰিশ্বাস সকলের মনে ৰদ্ধমূল হওয়ায় সমগ্র মানবসমাজের এত মহোপকার, তখন যদি নবোখিত্ত নৰবিজ্ঞান লোকের সেই দৃঢ় ৰিশ্বাসকে ক্রমশঃ মন্দভূক্ত করিয়৷ দেয়, তাহারা কি সন্দেহদোলায় দোলায়মানচিত্ত হইয়। ইতোৰষ্ঠস্ততোনষ্ট হয় না এবং ইহাতে সমাজের সবিশেষ অমঙ্গল হইবা র কি সস্তাবনা মাই ? অতএৰ এৰিষয়েও ৰিজ্ঞানের কথায় কর্ণপাত ন করাই শ্রেম। আমাদের বিশ্বাস, চতুৰ্বেদ ঈশ্বরগ্রকটিত ও স্বষ্টিৰূর্ত ব্ৰহ্মার চতুমুখ হইতে ৰিনিঃস্থত হয়। শাস্ত্রের এ কথার কতবিদ্য নব্যসম্প্রদায় ৰিশ্বাস কধেন : কি ন সন্দেহ । কিন্তু এ কথার ও বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা দেওয়া যাহতে পারে। ষেমন ভাষা মানবকৃত, ঈশ্বর প্রণীত নম্ন, অথচ অনাদি বলিয়া উহাকে ঈশ্বরপ্রণীত বলা যায় ; সেইরূপ জাতীয় জ্ঞানভাণ্ডার অনাদি বলিয়া উহাকেও ঈশ্বরপ্রণীত ৰল। যাইতে পারে। অতএৰ অতি প্রাচীনকালের শ্রুতিপরম্পরাগত আর্য্যজাতির জ্ঞানভাণ্ডার স্বরূপ চতুবোদও যে ঈশ্বরপ্রণীত ৰ৷ ব্ৰহ্মাৰ চতুমুখসমৗরিত তদ্বিবয়ে কোন সন্দেহ নাই। যেমন ভাষা ও জ্ঞান মূলে অনাদি, অতৃএৰ ঈশ্বর প্রণীত, পরে সমাজের উন্নতির সঙ্গে ইহারা মনুষ্য কর্তৃক গরিফুরিষ্ঠ ও পরিবদ্ধিত হয় ; সেইরূপ আৰ্য্যজাতির আদ্যধৰ্ম্মঞ্জস্থ, বেদ সংষ্ঠিত মুলে অনাদি, অতএৰ ঈশ্বর প্রণীত ; ইহাও পরে অর্ষ্য সমাজের উন্নতির সহিত পরিবদ্ধিত হইয়া এখন চতুৰ্ব্বেদে বিভক্ত হইয়াছে। পুরাকালে আৰ্য্যসমাজে এৰ বেদ শাস্ত্র প্রচলিত ছিল ; ইছাই কালক্রমে