পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ వs ] यष्ट्सब्र श्श আত্মপ্লানিরূপ নরকাগ্নিতেদগ্ধ হইয়া পশুতুল্য হয় এবং অস্তে নিকৃষ্ট যোনি প্রাপ্ত হয়, তাহাই ইহার পাপকৰ্ম্ম । এখন হৃদয়স্থ বিবেক ইহলোকে জ্ঞানশক্তির স্ফূৰ্ত্তির সহিত ক্রমবিকশিত হউক বা নৈসর্গিক সংস্কার হউক এবং হৃদয়ে যতই কেন স্বার্থ প্রবৃত্তি ও পরার্থ প্রবৃত্তির বিরুদ্ধ সমাবেশ হউক না, তাহাতে জীবাত্মার পাপপুণ্য জ্ঞানের কিছুমাত্র ইতরবিশেষ হয় না । মায়ার ত্রিগুণ ইহার মায়াজন্ত অবস্থা যেরূপ স্থিরীকৃত করে, ইহাও তদনুসারে সকল লোকে চালিত হয়। ইহলোকে ইহার মায়াজষ্ঠ অবস্থা এখন এইরূপ স্থিরীকৃত যে, মানব সমাজে বনবাস করায় বিরুদ্ধ প্রবৃত্তির দাস, তাহার জ্ঞানশক্তির স্মৃত্তির সহিত র্তাহার জীবাত্মা ও পাপপুণ্যজ্ঞান ক্রমঞ্জুরিত। অতএব যে জড়বাদী বিজ্ঞান বিবেক বা পাপপুণ্যজ্ঞান বাল্যকালার্জিত সংস্কার বলিয়া সাহঙ্কারে মানবধৰ্ম্মের মূলে কুঠারাঘাত করে, সে বিজ্ঞান কতদূর ভ্রান্ত এবং তদ্বারা আমরা কতদূর বিপথে চালিত হই! সনাতন হিন্দুধৰ্ম্মের প্রধান গৌরব এই যে, পাপপুণ্য নির্দেশে ইহার প্রসর একদিকে যেমন বহু প্রসারিত, অপরদিকে ইহা তেমনি অতীব সৃক্ষ । যে সকল কৰ্ম্ম সমাজ, শরীর, মন ও জীবাত্মার পরম কল্যাণকর ও অশেষ মঙ্গলদায়ক, তাহাই এ ধৰ্ম্মের মতে পুণ্যকৰ্ম্ম ; আর যাহা উহাদের প্রকৃত ৩, . কারক, তাহাই পাপকৰ্ম্ম । যেমন দেহপিঞ্জরনিবদ্ধ জীবাত্মা যুগধৰ্ম্মে জড়দেহের সহিত জড়ত্ব প্রাপ্ত হইয়। এই দৃশ্যমান বাহ্যজগতের সহিত বিবিধ সম্বন্ধে সম্বদ্ধ, সেইরূপ এ ধৰ্ম্মও এ সকল সম্বন্ধ বিশদরূপে প্রকাশ করতঃ উহাদের দ্বারা জীবাত্মার স্বাভাবিক আধ্যাত্মিকতা কিরূপে কথঞ্চিৎ স্মৃত্তি পায়, তজ্জন্ত ইহা বিশেষ প্রয়াসী । ইহারই জন্ত এ ধৰ্ম্ম তোমার সামাজিক, পারিবারিক, শারীরিক ও মানসিক যাবতীয় কৰ্ম্মগুলি তোমার অশেষ মঙ্গলের জন্ত সুচারুরূপে চালায় এবং উহাদের উপর পাপপুণ্যের অনুশাসন দিয়া জীবাত্মার গভীরতম প্রদেশে চিরাঙ্কিত করে ও বিবেককেও তদনুরূপ গঠিত করে। একদেশদশী খ্ৰীষ্টাদি ধৰ্ম্মে ঐ সকল দেখা যায় না বলিয়া উহারা যে স্বধৰ্ম্মের কুসংস্কার, তাহা একবারও মনে ভাবিও না । এস্থলে ধৰ্ম্মের মহোচ্চ ও স্বৰ্গীয়তাব হৃদয়ঙ্গম করিতে সকলের বিশেষ যত্নবান হওয়া উচিত। দেখ, গঙ্গাস্নানে আমাদের মহাপুণ্য ও গোহত্যায় মহাপাতক। স্বাস্থ্যকর,