পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২১২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ১৯৮ ] গঠনপদ্ধতি বেরূপ এবং মানবহৃদয়ে বিরুদ্ধপ্রবৃত্তির যেরূপ সমাবেশ ठांशुंब्र অনিবাৰ্য ফলস্বরূপ সমাজের হিতাহিত বা সংসারের ধৰ্ম্মাধৰ্ম্ম উখিত হইয়াছে । এখন যদি বিজ্ঞানকে জিজ্ঞাস করা যায়, কেন মানবের প্রকৃতি ঐরূপ হইল, যাহাতে তিনি স্বার্থ প্রবৃত্তি ও পরার্থপ্রবৃত্তি দ্বারা চালিত হইয়া অনুক্ষণ স্বাথ ও পরার্থের সংগ্রামে লিপ্ত হন এবং সকল সময়ে সমাজের হিতাহিত সাধনে প্রবৃত্ত হন ? কিন্তু এ কথায় বিজ্ঞান প্রায় নিরুত্তর । এখন সনাতন হিন্দুধৰ্ম্ম এ বিষয়ে কিরূপ স্বৰ্গীয় ও মহে চ মতামত প্রকাশ করে, তাহার উল্লেখ করা কৰ্ত্তব্য । ইহার মতে সংসারের যাবতীয় পাপপুণ্য ও সুখদুঃখ একমাত্র মায়ার ত্রিগুণ হইতে উদ্ভূত। এই মায়ার ত্রিগুণই জীবাত্মাকে ভিন্ন ভিন্ন লোকে অনন্ত কালের জন্ত চালিত করে । এই মায়ার এমনি গুণ, জীবা স্ন! যখন যে লোকে পরিভ্রমণ করে, তখন ইহা সেই লোকের মায়াজন্ত অবস্থায় পতিত হইয়া পূৰ্ব্বজন্মার্জিত কৰ্ম্মফল ভোগ করে ও নুতন কৰ্ম্মফল অর্জন করে। জীবাত্মার কৰ্ম্মফল ভোগের জন্য মায়ার ত্রিগুণ জগতে বৈচিত্র্য ও বৈষম্য আনয়ন করতঃ ইহাকে নানা অবস্থায় নিক্ষেপ করে। এই প্রত্যেক লোকে জীবাত্মা নানা মায়াজন্ত অবস্থায় নিক্ষিপ্ত হইয়া ইহার কৰ্ম্মফল ভোগ করে । কৰ্ম্ম ফলই জীবাত্মার চিরসহচর। ইহারই জন্ত জীবাত্ম জন্মে জন্মে কৰ্ম্মদেহ লাভ করে । কৰ্ম্মফলই ইহাকে অনন্তকাল পরিচালিত করে। এমন কি, কৰ্ম্ম ফলের অস্তিত্বে ইহার অস্তিত্ব ও বিশেষত্ব এবং যে দিন ইহার কৰ্ম্মফল লয় প্রাপ্ত হয়, সেই দি ও ইহা ব:রিকণার ল্পায়ু পরব্রহ্মরূপ মহার্ণবে লীন হয় । জীবাত্মার কৰ্ম্মফলই হার পাপপুণ্যের সমষ্টি । , Q ংসারের মনোবিধ অবস্থায় পতিত হইয়া জীবাত্ম, যে সকল কৰ্ম্ম দ্বারা ইংলোকে সাত্বিকভাব ও সাত্ত্বিকমুখ এবং পরলোকে সদগতি প্রাপ্ত হয়, যঙ্গারাইং অনন্ত উন্নতির পথে ধাবমান হইয়া উৎকৃষ্ট লোকের উপযোগী হয়, उष्ट्रं "ইহার পুণ্যকৰ্ম্ম এবং যদ্বারা ইহ তামসিক ভাব প্রাপ্ত হইয়া ইহলোকে অশেষ দুঃখ ভোগ করে ও পরলোকে অধোগতি প্রাপ্ত হয়, তাহাই ইহার পাপকৰ্ম্ম। "দ্বারা ইহ সংসারে আত্মপ্রসাদরূপ ব্ৰহ্মানন্দ ভোগ করতঃ দেবতুল্য হয় এবং মৃত্যুর পর দেবত্বে পরিণত হয়, তাহাই ইহার পুণ্যকৰ্ম্ম এবং