পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২৩৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ২২৩ ] তিনি কেবল ছঃখের পর দুঃখ ভোগ করেন ? কেন জগতে “চক্ৰবৎ পরিভ্রমন্তে মুখানি চ দুঃখানি চ ?” যদি একমাত্র অন্ধদৈণকর্তৃক আমাদের জীবনের যাবতীয় ঘটনাবলি পরিচালিত হই, তবে আমাদের পাপপুণ্যজ্ঞান সকলই অলীক এবং পাপপুণ্যের সহিত আমাদের জীবনের মুখদুঃখেরও কোনরূপ সম্বন্ধ থাকিত না। যপার্থ বলিতে কি, এ স্থলে বিজ্ঞান আমাদের মুখদুঃখের প্রকৃত কারণ নির্দেশ করিতে অসমর্থ ; কেবল ইহার বাহন্তরটা নির্দেশ করে মাত্র এবং ইহার অন্তঃপ্রবেশ করে না । ষে বিজ্ঞান ঈশ্বর, আত্মা, পরলোক ও বিবেক কিছুই মানে না, সে বিজ্ঞান যে সুখদু:খের এরূপ অসম্পূর্ণ কারণ নির্দেশ করিবে, তাহাতে ইহার কিছুমাত্র বিচিত্রত নাই। এখন এ বিষয়ে যথার্থ কারণতত্ত্ব নির্দেশ করিবার জন্ত, সেই সত্যসনাতন, নিত্যনিরঞ্জন অধ্যাত্মবিজ্ঞানের শরণ লওয়া উচিত । 聰 অধ্যাত্মবিজ্ঞানের মতে জীবের , কৰ্ম্মফলই ইহসংসারে যাবতীয় সুখদুঃখের মূলীভূত কারণ এবং সুখদুঃখরূপ বিভিন্ন মায়াজন্ত অবস্থা প্রাপ্ত হইয়া জীবাত্মা,প্রকৃতরূপ শিক্ষা প্রাপ্ত হয় এবং অনন্ত উন্নতির পথে ধাবমান হয়। এই কৰ্ম্মফল বিধানের জন্তই ত্রিগুণাত্মিক প্রকৃতি ইহ সংসারে ত্রিগুণের অনস্তলীলা প্রদর্শন করতঃ মানবসমাজে এত বৈষয়িক তারতম্য ও ভেদাভেদ আনয়ন করে এবং সেই সঙ্গে দেহনিবদ্ধ জীবাত্মাকে অনন্ত সম্বন্ধে সস্বদ্ধ করতঃ উহার মন, জ্ঞানেশ্রিয় ও কৰ্ম্মেলিয়ের সহিত বাহ্যজগতের বিৰিধ সম্বন্ধ তদনুরূপ স্থিরীকৃত করে। এই বিবিধ সম্বন্ধবশতঃ জীবাত্মার বিবিধ স্নখদুঃখ বোধ এখন এ সংসারে হইয়াছে। মাত্রাস্পৰ্শাস্তু কৌন্তেয় শীতোষ্ণসুখদুঃখদা আগমাপায়িনোহনিত্য স্তাংস্তিতিক্ষশ্বভারত । গীতা । “এই মায়াময় জগতে শীতোষ্ণ ও যাবতীয় সুখদুঃখ কেবলমাত্র ইন্দ্রিয় ও বিষয়ের সংযোগ বশতঃ উৎপন্ন হয়। ইহারা অনিত্য ও ক্ষণবিধ্বংসী বটে ; কিন্তু তুমি ইহাদিগকে পুনঃ পুনঃ ভোগ করিতে বাধ্য।” মানব প্রাকৃত অবস্থায় থাকুন বা অপ্রাকৃত অৰস্থায় থাকুন, তিনি অসভ্যাবস্থায় থাকুন বা সভ্যাবস্থায় থাকুন, তাহার কোন অবস্থাটা প্রকৃতির