পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/২৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

J צפיר ] কিন্তু তাহার প্রাক্তন কৰ্ম্মফলই তদীয় মৃত্যুর প্রকৃত কারণ। যে অবস্থার যোগাযোগে সে ব্যক্তি সর্পদষ্ট হইয়া পঞ্চত প্রাপ্ত হয়, তাহার স্বীয় কৰ্ম্মফলই সেই সকল অবস্থার পূর্ণ যোগাযোগ ঘটাইয় দেয় এবং তাছার বিনাশক্তি প্রায়ে সপকে নিয়োজিত করে । মনে কর, এক ব্যক্তি জন্মান্ধ হইয়া সংসারে অশেষ কষ্টরাশি ভোগ করে । এ স্থলে এ ব্যক্তির জন্মান্ধ হইবার প্রকৃত কারণ কি ? শারীরবিধানশাস্ত্র বলে, ভ্রণাবস্থায় যে সকল পরিবর্তনপরম্পরা দ্বারা নেত্রদ্বয় পূর্ণত্ব প্রাপ্ত হয়, উহাদের কোন না কোন বিষয়ে ক্রটি বা বিপৰ্য্যয় উপস্থিত হওয়ায় নেৰুদ্বয় পূর্ণভাবে বিকশিত হয় নাই, তজ্জন্ত সে ব্যক্তি জন্মান্ধ। এখন জিজ্ঞাস্য, এ ব্যক্তির নেত্ৰশূরণে কেন তাদৃশ ব্যতিক্রম ঘটিল ? তুমি বলিতে পার হয়ত তদীয় জরায়ুজীবনে মাতার কোনরূপ মানসিক বিকার উপস্থিত হওয়ায় তাহার অক্ষিদ্বয় পূর্ণত্ব প্রাপ্ত হয় নাই । বিজ্ঞান আরও বলিয়া দেয়, কোন কোন পরিবর্তনের ব্যতিক্রম ঘটাতে তাহার নেত্ৰ অসম্পূর্ণ হয় । অন্ধ দৈববশাৎ হউক, প্রকৃতির প্রমাদবশতঃ হউক, কেন তাদৃশ বুতিক্রম ঘটিল ? এ স্থলেও কি বোধ হয় না, যে সকল অবস্থার যোগাযোগে তাহার নেত্রদ্বয় পূর্ণত্ব প্রাপ্ত হয় নাই, তদীয় প্রাক্তন কৰ্ম্মফলই সেই সকল অবস্থার পূর্ণ যোগাযোগ ঘটাইয়া তাহার নেত্রদ্বয়কে পূর্ণত্ব প্রাপ্ত হইতে দেয় নাই ? এখন যদি কেহ জিজ্ঞাস। করেন, পূৰ্ব্ব জন্মে কোন মহাপাপ করায় সে ব্যক্তি ইহজন্মে জন্মান্ধ হইল ? এ বিষয়ে অসম্পূর্ণ মানব কি বলিতে পারেন ? তিনি এই পৰ্য্যন্ত জানেন,কৰ্ম্মফলই র্তাহার যাবতীয় সুখদুঃখের মূলীভূত কারণ। কিন্তু কোন পাপে কোন দুঃখ ভোগ বা কোন পুণ্যে কোন সুখলাভ হয়, তাহা তিনি আদেী জানেন না। পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ বলেন, মহাত্মা বুদ্ধদেবই প্রাচ্যজগতে কৰ্ম্মফলের .নিয়ম প্রথম আবিষ্কার ও প্রচার করেন । কিন্তু ইহা তাহাদের একটী মহৎ ভ্রম। বুদ্ধদেব এই শ্রেষ্টমতটা কদাচ আবিষ্কার করেন নাই। ইহা সেই প্রাচীন কালের অধ্যাত্মবিজ্ঞানের মত এবং চিরদিন যোগেশ্বরদিগের ভিতর প্রচলিত . আছে। বুদ্ধদেবের বহু পূর্বে মহর্ষিগণ আর্য্যসমাজে এই শ্রেষ্ঠ মত প্রচার করেন ; কিন্তু বুদ্ধদেব এই মতটা জনসাধারণের নিকট প্রথম প্রচার করেন। তাঁহাতেই পাশ্চাত্য পণ্ডিতগণ ভাবেন,তিনিই এই মত প্রথম আবিষ্কার করেন।