পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

f [ १७ ] প্রকার ভৌতিক বর্তমান তাহ দ্বারাই যাবতীয় পার্থিব পদার্থ নিৰ্ম্মিত । এখন নবযুগের নব্যসম্প্রদায়বর্গ নববিজ্ঞানের পক্ষপাতী ; যেহেতুক বিজ্ঞান যে সকল চাক্ষুদ প্রমাণ দেয়, তাহ কেহ অগ্রাহ করিতে পারেন না, এজন্য র্তাহার ভাবেন, দার্শনিকদিগের মতটা সৰ্ব্বৈব অনুমানসিদ্ধ ও কাল্পনিক । এখন জিজ্ঞাস্ত, যে কপিলদেব যোগবলে জড় জগতের আদ্যস্তর অবগত হন, তাহারই মত কি মিথ্যা ? আর র্যাহারা দুইট। বকযন্ত্র ও রিটর্ট (Rotort ) লইয়। পরীক্ষাগারে কতকগুলি পদার্থ বিশ্লিষ্ট কর তঃ তথাকথিত ভৌতিক পদার্থ আবিষ্কার করেন, তাহীদেরই মত কি মহাস ত্য ? যে স্থলদশী জড়বিজ্ঞান পদার্থের ইন্দ্রিয় গ্রাহ্য বাহ্যস্তরট অনুশীলন করিয়া ও ঐকদেশিক প্রমাণ প্রাপ্ত হইয়া কতকগুলি ঐকদেশিক সিদ্ধান্ত করে, তাহারই কণা অখণ্ডনীয় জ্ঞান করা উচিত ? অার যে দর্শন অধ্যt য়ুবিজ্ঞানের জ্যোতি প্রাপ্ত হইয়। এতদিন জগতে ঐ সকল মহাসত্য প্রচার করে, তাহাই কি একেবারে মিথ্য ও ভ্রমসঙ্গুল জ্ঞান কবা উচিত ? তবে দর্শন ও বিজ্ঞানের বিবাদ কি প্রকারে ভঞ্জন করা উচিত ? তত্ত্ববিদ্যা উপদেশ দেয়, জড়পদার্থের - প্রকৃতি বস্তুতঃ সপ্তধা ; তন্মধ্যে আমরা কেবল ইহার বাহাস্তরটা বুঝিতে পারি এবং অন্যান্য স্তর আদৌ বুঝিতে পারি না । অতএব যে দর্শন অধ্যায়ুবিজ্ঞানের সাহায্য লইয়। পদার্থের আদ্যস্তর বর্ণন করে, তাহা কদাচ অবিশ্বসনীয় হইতে পারে না এবং যে বিজ্ঞান জড়পদার্থের বাহ্যস্তর মাত্র অমুশীলন করে, তাহার কথাও একমাত্র বিশ্বসনীয় হইতে পারে না । সত্যবটে. অসাধারণ পরীক্ষা ও পর্য্যবেক্ষণ বলে ভৌতিক পদার্থগুলি বিজ্ঞান কর্তৃক জগতে আজ আবিষ্কৃত এবং কি প্রকারে উহাদের সংযোগে ও বিয়োগে রাসায়নিক আকর্ষণের তারতম্য বশতঃ বিভিন্ন যৌগিক পদার্থ উৎপাদিত, তাহা ও পুখানুপুধরূপে নিরূপিত ; কিন্তু আজকাল অনেক রাসায়নিক্স পণ্ডিতের বিশ্বাস, যেমন জড় জগতের ভিন্ন ভিন্ন শক্তিগুলি এক মহাশক্তির রূপান্তর বা বিকার, সেইরূপ জগতের যাবতীয় ভৌতিক পদার্থ৪ কোন এক মহাভূতের রূপান্তর মাত্র। র্তাহারা সেই মহাভূতকে প্রোটল (Proyo) নামে অভিহিত করেন। দর্শনপ্রতিপাদিত মহাভূত পৃথিবীকে