পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ११ ] পোটল বলা যাইতে পারে। ইহাতেই দর্শন ও বিজ্ঞানের বিবাদ কিয়ৎ পরিমাণে ভঞ্জন করা যায় । মহাত্মাগণ বলেন, প্রত্যেক কল্পে বা জীব প্রবাহে পঞ্চমহাভূতের মধ্যে এক একটা মহাভূত ইহার বাহ্যরূপে জীবের ইন্দ্রিয়গ্রাহ হয়। এখন চতুর্থ কল্প প্রবর্তিত ; এখন পঞ্চ মহাভূতের ভিতর চারিটী মহাভূত জীবের ইন্দ্রিয়গ্রাহ এবং পঞ্চম মহাভূত আকাশ এখনও ইন্দ্রিয়গ্রাহ হয় নাই। জড়বিজ্ঞান ও অনুমানবলে আকাশের অস্তিত্ব স্বীকার করে এবং ইহাকে ইথার ( Ether ) নামে অভিহিত করে। এই আকাশের গুণাগুণ বুঝিতে পারিয়া যোগসিদ্ধ মহাত্মার অলৌকিক ক্ষমতা প্রদর্শন করেন । স্বৰ্য্যের সুষুম্নাদি যে সাত প্রকার রশ্মি ৱৰ্ত্তমান, উহারা আকাশের উপাধি এবং উহাদের দ্বারাই জড়শক্তি জড়বস্তু সংযোগে জড় জগতে প্রকাশিত। সকলেই আকাশকে শূন্ত জ্ঞান করেন। বস্তুতঃ তাহা নহে। ইহা অনন্ত গুণে গুণান্বিত । অনন্ত মহাকাশ অনন্ত ব্ৰহ্মা গু পরিব্যাপ্ত বা অভিব্যাপ্ত। পরমাণু হইতে অগণ্য নক্ষত্র মণ্ডল পৰ্য্যস্ত সৰ্ব্বত্র আকাশ সমভাবে বর্তমান। লক্ষ লক্ষ যোজন দূরে অবস্থিত গ্রহনক্ষত্রগণ আকাশ দ্বারাই পরস্পর পরস্পরের সহিত সম্বদ্ধ ও সৰ্ব্ব প্রকারে আকৃষ্ট । সূৰ্য্য আকাশ দ্বারাঁই পৃথিবীকে আলোকিত করে ও জীবসমূহে পুর্ণ করে। এইরূপ তত্ত্ববিদ্যা নানা কথার উল্লেখ করে ; কিন্তু স্থলদশী বিজ্ঞান উহাদিগকে কাল্পনিক বলিয়া উড়াইয়া দেয় এবং উহাদিগকে আদৌ বুঝিতে পারে না । তবে আমরাই বা কি প্রকারে বিজ্ঞানের কথায় কর্ণপাত করিয়া দর্শনের কথা একেবারে অবিশ্বাস করি ? নে জড়বিজ্ঞান দর্শনের উপর উপহাস ও বিদ্রুপ করে এবং যাহার উপর লোকের বিশ্বাস এখন ক্রমশঃ বদ্ধমূল, সেই বিজ্ঞান কি প্রকারে স্বষ্টিরহস্যোম্ভেদ করে, তাহা এস্থলে বর্ণনা করা আবশ্যক। ইহার মতে এই জড়জগৎ কতকগুলি অনাদি অবিনশ্বর ভৌতিক পদার্থ দ্বারা বিরচিত । ঐ সকল ভৌতিক পদার্থের পরমাণুরাশি কতক গুলি অস্থনিহিত অবিনশ্বর জড়শক্তির সংযোগে ও বিয়োগে, সংঘটনে ও বিঘটনে, আকর্ষণে ও বিকর্ষণে বিভিন্নরূপে পুঞ্জীকৃত, রূপান্তরিত, পরিবর্তিত ও বিপৰ্ত্তিত হওয়ায় জড় জগতের যাবতীয় পদার্থ নিৰ্ম্মিত ও বিরচিত । কত লক্ষ লক্ষ বৎসর ব্যাপিয়া