পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৯৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ ア・ ] করে, সেই বিজ্ঞানের দর্প চূর্ণ দেখিয়া অধ্যাত্মবিজ্ঞান বলে, রে "সভ্যতাতিমানী জড়বিজ্ঞান! তুমি যে বাহলভ্যতাবৃদ্ধির প্রলোভন দেখাইয়া লোকবর্গকে নিজ কুহকে মোহিত কর, তুমি তাহা লইয়াই চিরদিন ব্যস্ত থাক ; কেন তুমি জীবনের কুট প্রশ্ন মীমাংসা করিতে প্রয়াস পাও ? ওদিকে তোমার বুদ্ধি আদৌ ক্ষরিত হইবে না। তুমি সামান্ত বক্যাদি লইয়া চিরদিন বাল্যলীলায় ব্যাপৃত থাক, ইহাতেই তোমার শ্রেয়োলাভ ; আর জীবনের গভীর চিন্তায় কদাচ মনোভিনিবেশ করিও না, উহাতে কিছুমাত্র সারবত্তা নাই।” পরিশেষে বক্তব্য, অধ্যায়ুবিজ্ঞান, দর্শন ও জড়বিজ্ঞানের মতে স্বষ্টিরহস্ত উদ্ভেদ করিতে চেষ্টা করা গেল বটে ; কিন্তু রহস্য উদঘাটিত হইল না এবং মনও সন্তোষ লাভ করিল না । মানবমন যেরূপ অসম্পূর্ণ, তাহাতে এ বিষয়ে আমাদের সকল চেষ্টাই বৃথা । যাহা হউক, এবিষয়ে অধ্যায়বিজ্ঞানের কথাই আমাদের শিরোধাৰ্য্য করা আবশুক । t মানব স্বষ্টি । যে মানব আজ সসাগর ধরণীর অধীশ্বর, তিনি কোন যুগে উদ্ভূত, তাহ নির্ণয় করা অতীব দুঃসাধ্য। এতদৰ্থে অসাধারণ অনুসন্ধান, পর্য্যবেক্ষণ ও পরিশ্রমের গুণে ভূতত্ত্ব, জীবতত্ত্ব, ভ্রাণতত্ত্ব, প্রত্নতত্ত্ব প্রভৃতি বিবিধ বিজ্ঞানশাস্ত্র অনুশীলন করিয়া মানবতত্ত্ব রচিত ; কিন্তু দুঃখের বিষয়, এ বিষয়ে এখনও মানবতর যথার্থ মত প্রকাশ করিতে অসমর্থ। খ্ৰীষ্টধৰ্ম্ম মড়ে আদাম ও ঈভ মানবজাতির আদিপুরুষ এবং ছয় সহস্ৰ বৎসর হইল, তাহারা স্বষ্টিকালে ঈশ্বরকর্তৃক স্বই। স্বকুমারমতি বালক বালিকাগণৰ খ্ৰীষ্টধর্মের এই সামান্ত উপকথায় বিশ্বাস করিতে পারে ; কিন্তু আধুনিক উন্নত জড়বিজ্ঞান এ কথায় হান্ত সম্বরণ করে না। সকল দেশের জনসাধারণের বিশ্বাস, পুথিবীন্থ যাবতীয় উদ্ভিজ্জ, জীবজন্তু ও মানবজাতি পরমপিতা পরমেশ্বর কর্তৃক স্বতন্ত্রভাবে স্বস্ট । এ কথার উপরও উচ্চবিজ্ঞান উপহাস করিয়া থাকে। একজন সামান্ত কুম্ভকার যেমন মৃত্তিকাদি লইয়া ঘট প্রস্তুত করে; সেইরূপ কি ঈশ্বর এ জগতে আসিয়া ও বিবিধ উপাদান