পাতা:বৈজ্ঞানিক হিন্দুধর্ম্ম প্রথম ভাগ.djvu/৯৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ v२ ] যে বিজ্ঞান কেবল মানবের স্থলদেহ অনুশীলন করিয়া ঐরূপ অপরূপ সিদ্ধাপ্ত করে, তাহার কথায় কর্ণপাত করা কি আমাদের কৰ্ত্তব্য ? তত্ত্ববিদ্যামতে ত্ৰিবিধ বিবর্তনে আধুনিক মানব সৃষ্ট। বিজ্ঞাননির্দিষ্ট মানবের ভৌতিক দেহে কালবশতঃ যেমন বিবৰ্ত্তন সংঘটিত, সেইরূপ আধ্যাত্মিক মানবে ও জ্ঞানবিশিষ্ট মানবে একের অপকর্ষ ও অপরের উৎকর্ষ ক্রমশঃ সাধিত ; অর্থাং র্তাহার বাহদেহ যে পরিমাণে অঙ্গসৌষ্ঠব ও সৌন্দর্য্য প্রাপ্ত, সেই পরিমাণে তাহার মনের জ্ঞানশক্তি ক্রমশঃ স্ফরিত ও পরিবর্দ্ধিত, কিন্তু সেই পরিমাণে র্তাহীর আত্মার আধ্যাত্মিকতা ক্রমশঃ হ্রাস প্রাপ্ত । দেহ ও মনের যেরূপ বিবর্তন সংঘটিত, আত্মার সেইরূপ সঙ্কোচন সমুপস্থিত। তাত্মার সঙ্কোচনবশতঃ চতুষ্পাদ ধৰ্ম্ম এ কলিযুগে একপাদে পরিণত এবং জ্ঞানশক্তির স্ফৰ্ত্তিবশতঃ জগতের সভ্যতা আজ বৰ্দ্ধনশীল । । এই ত্ৰিবিধ বিবৰ্ত্তন বশতঃ একমূৰ্ত্তি মানব বস্তুতঃ জগতে ত্রিমূৰ্ত্তিধারী। ত্রিমূৰ্ত্তি যুথ (১) স্বক্ষ বা কারণ শরীর (২) লিঙ্গ শরীর (৩) স্থল শরীর ; এই ত্ৰিমূৰ্ত্তির মধ্যে স্থল দেহরূপ চাক্ষুস মূৰ্ত্তিটা জড়বাদী জড়বিজ্ঞান অনুশীলন করে এবং অপর দুইটা মূৰ্ত্তির বিষয় ইহা আদৌ অবগত নহে ; এমন কি উহাদের অস্তিত্ব ইহা একেবারে অস্বীকার করে। একারণ বিজ্ঞানের যাবতীয় সিদ্ধান্ত ঐকদেশিক ও অসম্পূর্ণ। বিষ্ণুপুরাণমতে চতুর্মুখ ব্ৰহ্মা চতুৰ্ব্বিধ প্রজাস্থষ্টির জন্ত চতুৰ্ব্বিধ দেহ ধারণ করেন, যথা জ্যোৎস্না, রাত্রি, অহঃ ও সন্ধ্য। প্রথম রূপ হইতে অসুরগণ, দ্বিতীয় রূপ হইতে স্বরগণ, তৃতীয় রূপ হইতে পিতৃগণ ও চতুর্থ রূপ হইতে মানবগণ সমুৎপন্ন। এখন পুরাণোক্ত এই সামান্ত উপাখ্যানের ভিতর কিরূপ গৃঢ় রহস্ত নিহিত, তাহ ভেদ করা অতীব সুকঠিন। হিন্দুশাস্ত্রের নানাস্থলে যে সকল রূপক দেখা যায়, উহাদের অন্তঃপ্রবেশ করিয়া সত্যে উপনীত হওয়া এক প্রকার অসাধা। আদিপুরাণ যোগেশ্বরপ্রকটত ; যোগেশ্বরগণই পৌরাণিক সতু বুৰিতে সক্ষম। মৰিবন্থষ্টি বর্ণন করিবার পূৰ্ব্বে মানবের বাসভূমি পৃথিবী সম্বন্ধে কিঞ্চিৎ উল্লেখ করা কর্তব্য। ইতিপূৰ্ব্বে উল্লিখিত, স্বচিক্রে স্বশ্বজগৎ ক্রমে স্থলজগতে পরিণত এবং স্থলজগৎ ক্রমে স্বক্ষজগতে উন্নীত । অতএব