পাতা:বৈদিক গবেষণা.pdf/১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈদিক গবেষণা । & ৭ । ফলতঃ ঋগবেদ যে সৰ্ব্বাপেক্ষা প্রাচীন, তদ্বিষয়ে সন্দেহ নাই। কিন্তু দুঃখের বিষয় ইউরোপীয় পণ্ডিতগণ বেদ রচনার সময় খুষ্টেয় অল্পকাল পূৰ্ব্ব বলিয়া স্থির করিয়াছেন। আমি ঐ মতের অনুমোদন করিতে পারিলাম না। কারণ খৃষ্টের দশ বিশ সহস্ৰ বর্ষ পূৰ্ব্বে মিশরে গ্রন্থের স্বষ্টি হইয়াছে, অতএব মিশরের গ্রন্থ, বেদ হইতে কি প্রাচীন ? মিশরে যখন প্রভূত ক্ষমতা, ঐশ্বৰ্য্য, শিল্প ইত্যাদির বহল প্রচার ও বিভব, তখন কি আর্য্যের অসভ্য ? না তখন বেদ হয় নাই ? আমি পূৰ্ব্বেই বলিয়াছি, এবং এখনও বলিতেছি যে, ঋগবেদকে যদি এক বাক্যে প্রাচীন গ্রন্থ বলিতে চাহ, তবে স্বীকার কর যে, বেদ আদি কাল হইতে প্রচলিত। আদিম মানব সমাজের বাল্যাবস্থার সহিত বেদ রচনার সময়ের সংস্রব রহিয়াছে । সুতরাং বেদ বহু প্রাচীন গ্রন্থ । ৮ । পবেদ” নাম উচ্চারণ মাত্রে পবিত্র হিন্দুর মন এক প্রকার অপূৰ্ব্ব শ্রদ্ধা ও ভক্তি রসে প্লাবিত হয় । কেন ?—বেদ ঈশ্বর স্বজিত বস্তু, অর্থাৎ তাহীদের আদি পুরুষ রচিত । এবং ইহাই র্তাহাদের মুলধৰ্ম্ম গ্রন্থ । যেরূপ বাইবেল খৃষ্টানের পক্ষে, কোরাণ যবনের পক্ষে, বৃহস্পতি ও অঙ্গ বেীদ্ধের পক্ষে, সেইরূপ বেদ হিন্দুর পক্ষে,—বরং ততোধিক। বেদ কতকগুলি মহামূল্য গ্রন্থ সমষ্টি । চিকিৎসা, সংগীত, বাৰ্ত্তা, গণিত, রসায়ন, সাহিত্য সকলেরই আভাস বেদে প্রাপ্ত হওয়া যায় । বেদের যে স্থল ছন্দে রচিত, তাহাকে মন্ত্র (১০) কহে । যে স্থল গদ্যে সঙ্কলিত তাহাকে ব্রাহ্মণ কহে। যজুৰ্ব্বেদ আদ্যোপাস্ত গদ্যে রচিত, সুতরাং মন্ত্রভাগ ও গদ্য । অধিকাংশ মস্ত্রে দেবতা বিশেষের স্তব আছে, কোন কোন মন্ত্র প্রমাণ স্বরূপ, অনেক মন্ত্র কবিতার ভাবে পূর্ণ, কতকগুলি বা ঈশ্বর বিষয়ক তত্ত্ব-কথায় পূর্ণ। ব্রাহ্মণ ভাগ কিন্তু সে প্রকারের নহে। ব্রাহ্মণ ভাগের বিস্তর অংশ ইতিহাস க்கம்- μαμη μüΕΕΓΑ (♭ •) Wide *t*fzşwNow (Miţra & dos edition) 8 אסי ༢༠༠༤༢༠ পৃষ্ঠা |