পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সপ্তম অধ্যায় বাস্থদেবের বাল্যেই বিষ্ণুপ্রীতির পরিচয় বালকের রমণীয় মুখচন্দ্রচ্ছবি দর্শন করিয়া আত্মীয়-স্বজন সকলেই এত আকৃষ্ট হইতেন যে, তাহার নিজ নিজ গৃহে যাইয়াও বালককে বাসুদেব-জনক-জননীর ভূলিতে পারিতেন না। এমন নধর-সুন্দর-কান্তি মূলদহ নেহের বালককে দেখিবার জন্য অনেকেই স্ব-স্ব-গৃহের যে উৎসবে গমন : কোন উৎসবাদিতে বালকের মাতা-পিতাকে নিমন্ত্রণ বাসুদেবের বনপথে করিতেন এবং তাহীদের সহিত বালককে প্রাপ্ত বিষ্ণুমন্দিরে হইয়। উৎসবের আনন্দ-প্রদর্শনীর মধ্যে সেই হাস্ত প্রবেশ লাস্ত-শোভিত বালকের নিরূপম শোভা প্রদর্শনপূর্বক সকলের চিত্তের আনন্দ বৰ্দ্ধন করাইতেন। একদিন ব্রাহ্মণদম্পতি নিজ আত্মীয়গণের কোন সামাজিক উৎসবে নিমন্ত্রিত হইয়া র্তী ছাদের গৃহে গমন করেন । সেই গৃহটী উৎসবের কোলাহলে পরিপূর্ণ হইয়া উঠিয়াছিল, লোক জন যথেচ্ছভাবে গমনাগমন করিতেছিল, পরস্পর মিলন-সুম্ভাষণের ব্যস্ততায় সকলেই প্ৰমত্ত ছিল, বাস্থদেবের জননীর সৌভাগ্য.বর্ণন ও র্তাহার সহিত আলাপে সকলে ই অন্তমনস্ক হইয়া পড়িয়াছিল ; এমন সময় বালক বাসুদেব জননীর অজ্ঞাতসারে জনতার মধ্যে প্রবিষ্ট হইয়া উৎসব-ভবন হইতে বহির্গত হইয়া পড়িল । পথিকগণ এমন একটী রমণীয় বালককে পথে দেখিতে পাইরা জিজ্ঞাসা করিলেন,— “বৎস, তুমি কোথায় যাইতেছ? তুমি অল্পবয়স্ক শিশু, একাকী কোথায়ও যাইতে পারিবে না ; চল, তোমার মাতার নিকট লইয়া যাই ।” পথিকগণ