পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নবম অধ্যায়—বাস্থদেবের উপনয়ন আৰ্জবং ব্রাহ্মণে সাক্ষাৎ শূন্দ্রেচুনার্জবলক্ষণঃ। গৌতমস্তৃিতি বিজ্ঞায় সত্যকামমুপানয়ৎ । ( ছান্দোগ্যে মাধবভাষ্যধৃত সামসংহিতা-বাক্য ) ব্রাহ্মণে সাক্ষাৎ সরলতা এবং শূদ্রে কুটিলতা বর্তমান—হারিক্রমত গৌতম এইরূপ গুণ বিচার করিয়াই সত্য কামকে উপনয়ন বা সাবিত্র্য সংস্কার প্রদান করিয়াছিলেন । এই বাসুদেবই বৃশ্চিক-তাঙুলীয়ক লৌকিক-দ্যায়ের উদাহরণের দ্বারা ভবিষ্যতে জানাইবে যে, ঋষিকুলের মধ্যে শোক্রগত ( যদি নিরবচ্ছিন্ন সংস্কারযুক্ত সাগ্নিক ব্রাহ্মণের অস্তিত্ব থাকে ) এবং অচ্যুত-কুলের মধ্যে বৃত্তগত ব্রাহ্মণত সিদ্ধ ; কেননা, কেবল শোক্রগত প্রণালীতেই যদি ব্রাহ্মণত সিদ্ধ হয়, তাহা হইলে বিরাটু পুরুষ—যিনি ব্রাহ্মণ, ক্ষত্রিয়, বৈশু, শূদ্র কোন বর্ণেরই অন্তর্গত নহেন, তাহা হইতে আবিভূতি পুরুষগণকে কিরূপে ব্রাহ্মণ’ বলা যাইতে পারে ? যেমন দ্বিবিধ-প্রণালীতে কীটাদি প্রাণীর উৎপত্তি হয়, সেই প্রকার দ্বিবিধ প্রণালীতে বর্ণও নিরূপিত হয়। তণ্ডুল হইতে এক প্রকার কীটের উৎপত্তি হইয়া থাকে, অপর কীট ইহাদের জনক নহে ; আবার বৃশ্চিকাদি কীট অপর বৃশ্চিকাদি কীটের দ্বারা শৌত্র-প্রণালীতে উৎপন্ন হয়। বৈষ্ণবগণ শ্রেীত-প্রণালীতে অর্থাৎ শ্রুতি-স্মৃতি-পঞ্চরাত্রোজ্ঞ বৃত্তগত-বিচারে প্রকাশিত হন, আর কৰ্ম্মফলবাধ্য সাধারণ জীবগণ কৰ্ম্মকাণ্ডীয় শৌত্রপ্রণালীতে বর্ণগত হইয়া থাকেন ; সুতরাং ঋষিকুল ও অচ্যুতকুলের মধ্যে বিবাদ-বিসম্বাদ উচিত নহে । বৃশ্চিক-তাঙুলীয়ক 变州讯 [ لانه ] .