পাতা:বৈষ্ণবাচার্য্য শ্রীমধ্ব.djvu/৭৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৈষ্ণবাচার্য্য মধব মানবগণ বীজগর্ভসমুদ্ভূত পাপ হইতে নিস্কৃতি-লাভের জন্য বৈদিক-বিধান-মতে দশটী সংস্কার গ্রহণ করেন । উপনয়ন-সংস্কার সেই দশ সংস্কারের অন্যতম। এই ংস্কার প্রাপ্ত হইলে মানবের পাপ অপনোদিত হইয়া দ্বিতীয় নিম্পাপ জন্ম লাভ হয় । যে কুলে সংস্কার-গ্রহণ পৈতৃকাচার নহে, তথায় জন্মাবধি বীজগর্ভ-সমুদ্ভূত পাপ প্রশমিত হয় না । আর যে কুলে সংস্কার-বিধি প্রচলিত, সেই কুলকে ‘পুণ্যময় কুল’ বলিয়। পণ্ডিতগণ আখ্যা দিয়া থাকেন। প্রাক্তন-পাপবহুল হইয়া মানবগণ শোচ্য শূদ্ৰকুলে উদ্ভূত হন, আর প্রাক্তন-পাপ ক্ষীণ হইলে পুণ্যলব্ধ জীব দ্বিজকুলে শরীর লাভ করেন । দশ-সংস্কারের উদেগু দ্বিজকুলে স্থল-শরীর পাইলেই যে বীজগর্ভ-সমুদ্ভূত পাপে আক্রান্ত হইতে হইবে না, এরূপ নহে, পরন্তু দশ-সংস্কার-প্রভাবে প্রবর্তমান পাপবিনাশকল্পে উপনয়ন-সংস্কার আবশু্যক । যাজ্ঞবল্ক্য বলেন,--“এবমেনঃ শমং যাতি বীজগর্ভসমুদ্ভবম্ ” উপনয়ন-সংস্কারে আচার্য্য বেদ-সমীপে মানবককে লইয়া যান। উপনীত দ্বিজই বেদ অধ্যয়ন করেন ! যিনি বেদাধ্যয়নবিমুখ, তিনি উপনয়নবিশিষ্ট হইয়াও উপনয়ন-গ্রহণের একমাত্র তাৎপৰ্য্যহীন হইয়া ইহু-জন্মেই শূদ্র হইয়া যান এবং বংশ-পরম্পরায় দ্বিজ’-শব্দবাচ্য হইবার পরিবর্তে শূদ্রবংশের জনক হন । শূদ্র হইরা ব্রাহ্মণবংশ বলিয়া পরিচয় দিলে উপনয়ন-সংস্কার-গ্রহণের যোগ্যতা হয় না । ব্রাহ্মণের বংশে জন্মগ্রহণ করিলেই ‘ব্রাহ্মণ” হু ওয়া যায় না । সাবিত্র-সংস্কার গ্রহণ না করা পর্য্যন্ত তাহার এক জন্ম বা শূদ্রত। বর্তমান থাকে। সংস্কার গৃহীত হইলে মানবক দ্বিজ হন । [ છ૨ . ] বেদাধ্যায়ন-বিমুখের সাম্বর-শূদ্ৰস্তু