পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/২৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

{ २४० } গমনকালে অন্তঃপুরদেবতাগণ দৃশ্য হইয়া অশ্রুবিন্দুব্যাপ্ত ও বিলোল নয়নোৎপলদ্বারা তাহাকে বিলোকন করিয়ছিল । ১৫৫ ৷ কুমার সংসারের ন্যায় বিস্তীর্ণ নৃপ ও বান্ধবগণ সমন্বিত পুরীকে । প্রদক্ষিণ করিয়া দূর হইতে ‘ক্ষমা কর এই কথা বলিয়াছিলেন। ১৫৬ ৷ রাত্রি ক্ষণমাত্র অবশিষ্ট থাকিতে এবং সমস্ত লোক নিদ্রাভিভূত হইলে মহাননামক রাজবান্ধব জাগরিত হইয়। তাহাকে দেখিয়াছিলেন । ১৫৭ ৷ মহান আকাশগত কুমারকে দেখিয়া, প্রথমে চন্দ্র-শঙ্গা করিয়াছিলেন ; পরে অনেকক্ষণ বিচার করিয়া সবাষ্প নয়নে বলিয়াছিলেন । ১৫৮ । হে কুমার ! তুমি বন্ধুজনের জীবনসদৃশ । তোমার এরূপ বৈরাগ্য বড়ই আশ্চৰ্য্য। হে রুচিরাকার । এটা তোমার যুক্তিযুক্ত হয় নাই । ১৫৯ ৷ তোমার পিতা বংশের উৎকর্ষকামনায় তোমাতে আশা নিবদ্ধ করিয়াছেন। হে সৰ্ব্বাশাভরণ । তাহাকে কেন নিরাশ করিতেছ। ১৬০ ৷ রাজপুত্র শাক্যবংশীয় মহানের এইরূপ বাক্য শ্রবণ করিয়া তাহাকে বলিয়াছিলেন, হে বন্ধে বান্ধবপ্রীতিই বন্ধনশৃঙ্খল। ১৬১ ৷ মিথ্যা গৃহমুখের প্রিয় এই দেহ ক্ষয় পাইতেছে। বিষয়ৰূপ উগ্র বিষে পীড়িত জনগণের পক্ষে বনই অমৃতীয়তন । ১৬২ ৷ প্রমাদী ব্যক্তি এই সংসারবত্তী বিষয়সমূহে প্রমোদবান হইয়া হস্তদ্বারা ত্ৰিফণী সপকে আকর্ষণপূৰ্ব্বক মস্তকে বিন্যস্ত করিতেছে। উৎকট বিষলতারচিত লোলমাল কণ্ঠে ধারণ করিতেছে এবং হুতাশনপরিব্যাপ্ত দুর্গমপথে অবগাহন করিতেছে। ১৬৩। আকাশগামী কুমার এই কথা বলিয়া ক্ষণমধ্যে নগর লঙ্ঘনপূর্বক অশ্বারোহণে বহির্দেশে আসিয়া বেগে চলিয়া গিয়াছিলেন। ১৬৪ ।