পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা.pdf/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २४ > } শাক্যমুখ্য মহানকর্তৃক জাগরিত রাজা এবং অন্তঃপুরবত্তী কান্তগণের তখন একটা মহান করুণস্বর উত্তত হইয়াছিল । ১৬৫ ৷ অতঃপর রাজপুত্র ব্রহ্ম, ইন্দ্র ও কুবের প্রভৃতি দেবগণপরি, বেষ্টিত হইয়া দ্বাদশ যোজন অতিক্রমপুর্বক বনে উপস্থিত হইয়া, ছিলেন । ১৬৬ ৷ তথায় তিনি অশ্ব হইতে অবতীর্ণ হইয়া এবং আভরণসকল উন্মোচন করিয়া বদনকাস্তিদ্বারা আনন্দ প্রকাশপূর্বক ছন্দককে বলিয়াছিলেন । ১৬৭ ৷ তুমি এই সব আভরণ ও অশ্বটকে লইয়া যুহে গমন কর । এখন আমার মায়াবন্ধনস্বরূপ এই সকল বস্তুর কোন প্রয়োজন নাই । ১৬৮ ৷ এই বনমধ্যে আমি একাকী থাকিব । শান্তি ও সন্তোষই আমার বান্ধব । প্রাণী একাকী উৎপন্ন হয় এবং একাকীই মরিয়া থাকে। ১৬৯ ৷ বিষম বিষয়াসক্তি ও ভোগ পরিত্যাগপূর্বক কে সরস রতিব্রুেশ বজ্জন করিতে প্রৱন্ত হয় ? এই পরিভবাস্পদ সংসারমধ্যে আমাদের এইরূপই নিৰ্ম্মাণ হইয়াছে । আমি মদনক্লাস্তি প্রশমিত করিয়া শান্তিকেই আশ্রয় করিতেছি । ১৭০ ৷ কুমার এই কথা বলিয়৷ উজ্জ্বল আভরণগুলি ছন্দকের ক্রোড়ে নিক্ষেপ করিলেন। আভরণস্থ মুক্তাগুলি যেন শোকা শ্রীর ন্যায় প্রতীয়মান হইয়াছিল। ১৭১ ৷ তিনি খড়গদ্বারা মস্তকস্থ চুড়া কৰ্ত্তন করিয়া আকাশে নিক্ষেপ করিয়াছিলেন । ইন্দ্র উহা গ্রহণ করিয়া আদরপূর্বক স্বগে লইয়। গিয়াছিলেন । ১৭২ ৷ মহাত্মা কুমার যে স্থানে ক্লেশবৎ কেশ কৰ্ত্তন করিয়াছিলেন, সেখানে সজ্জনগণ কেশপ্রতিগ্রহনামক একটা চৈত্য সন্নিবেশিত করিয়াছেন । ১৭৩ ৷ いなや