পাতা:বোধিসত্ত্বাবদান-কল্পলতা (তৃতীয় খণ্ড).pdf/১৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| אלט ] নির্জনে সেই নৰ্ত্তকী গাঢ়ালুরগী ও ধৈর্য্যহীন রাজার কাস্তারূপী কালস্বরূপ হইয়া কণ্ঠগ্রহে উন্মুখ হইল। ৯৫ ৷ তৎপরে সেই রাজা দীর্ঘ নিদ্রার জন্য আদরপূর্বক শয্যায় আরূঢ় হইলে কুমার সহসা নৰ্ত্তকীরূপ ত্যাগ করিয়া বলিলেন। ৯৬ ৷ তুমি রাজ্য-ভোগ-লোভে ভ্ৰাতৃস্নেহ অপেক্ষ না করিয়া একাকী এই সহভোগ্য রাজ্য কেন ভোগ করিতেচ ? আমি নির্দোষ ; কিন্তু তুমি আমাকে বিষম ক্লেশ-সাগরে ফেলিয়াছ । এখন আমি নিজ কৰ্ম্মযোগে উত্তীর্ণ হইয়া প্রতীকার চিন্তা করিতেছি । ৯৭-৯৮ । কুমাব এই কথা বলিয় রাজাকে বন্ধনপূর্বক নিজ রাজ্য লাভ করিলেন এবং প্রজাগণ ও রাজভৃত্যগণকে আশ্বাসবাক্য দ্বারা প্রশান্ত করিয়া, নিজ পরাভব-বিষয় চিন্তা করিয়া, রাজাব প্রতি নির্দয় হইয়া প্রভাতকালে শিলা নিক্ষেপ করিয়া রাজাকে বধ করিলেন । ৯৯-১০০। কবিকুমারও ভ্রাতৃবধজন্য রক্তাক্ত সেই রাজসম্পদ ভোগ করিয়া দেহান্তে নরকগামী হইলেন । ১০১ । আমিই সেই কবিকুমার ছিলাম । বহু সহস্র বর্ষ সেই কৰ্ম্মফল ভোগ করিয়া নিষ্পাপ হইলেও অদ্য সেই পাপাবশেষফলে পদাঙ্গুষ্ঠে আঘাত পাইয়াছি । ১০২ ৷ পুরুষ ধারাবাহিক জন্মান্তরক্রমে পরিপাকপ্রাপ্ত নানা প্রকার নিজ কৰ্ম্মফল দেহরূপ পাত্রে ভোগ করে। স্থল, জল, তরু ও প্রস্তুরমধ্যে গেলেও কৰ্ম্ম তাহার পশ্চাদগামী হয় । বহু কল্প অতীত হইলেও কৰ্ম্মাবশেষ ত্যাগ করিতে পারা যায় না । ১০৩ ৷ ভিক্ষুগণ ভগবৎকথিত এইরূপ জন্মান্তর-কথা শ্রবণ করিয়া কৰ্ম্মসন্তুতিকে অলঙ্ঘনীয় বুঝিতে পারিলেন । ১০৪ ৷ কবিকুমারাবদান নামক ষট ষষ্টিতম পল্লব সমাপ্ত। 0 سے